দ্রুত বাংলার দিকে এগোচ্ছে সাইক্লোন (Cyclone)। হাওয়া অফিসের তথ্য সে কথাই জানাচ্ছে গত ১১ ঘণ্টায় সে ২০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে। সোমবার সন্ধ্যাবেলা সাতটা নাগাদ শক্তি বাড়িয়ে সাইক্লোন আমফান সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়ে। সেই সময়ে দিঘা থেকে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ৮৯০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থান করছিল বলে জানিয়েছিল হাওয়া অফিস।
মঙ্গলবার সকাল বেলা হাওয়া অফিস জানাচ্ছে সেটি মাত্র ৬৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে দিঘা থেকে। অর্থাৎ অঙ্কের হিসাব বলে দিচ্ছে কত কি অবস্থা ঝড় কতটা পথ অতিক্রম করেছে। আলিপুর হাওয়া অফিস আরও জানাচ্ছে, দিঘা ও সুন্দরবনের কাছ থেকে অতিক্রম করার সময় এই সুপার সাইক্লোন আমফানের তীব্রতা ভয়ঙ্কর হতে পারে। সেই সময় গতিবেগ থাকবে ১৫৫-১৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২০ মে আবহাওয়া অত্যন্ত খারাপ থাকবে রাজ্যের। আলিপুর হাওয়া অফিসের কথা অনুযায়ী, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৬৫-১৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইবে। সর্বোচ্চ ১৯৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট চলতে পারে। কলকাতা, হাওড়া ও হুগলিতে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট ব্যাপক হতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। মনে করা হচ্ছে, ১৯ তারিখ ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। ২০ তারিখ ক্রমে বেড়ে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা হতে পারে। এর ফলে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ঘটবে।
ঘূর্ণিঝড় যখন আছড়ে পড়বে তখন সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ঘটে । উত্তর ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে এই জলোচ্ছ্বাস ৪ থেকে ৫.৫ মিটার পর্যন্ত হতে পারে । পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষেত্রে ৩থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে , ঝড়ের আগে হাঁসফাঁস অবস্থা কলকাতার। আজ মঙ্গলবার, শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সোমবার ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এই ডিগ্রি বেশি ছিল। আজ ঝড় বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা নামতে পারে। এবার শহরের উপর ঝড়ের আগমনী ধবনি কতটা প্রভাব ফেলে সেটা দেখার।