করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমনের জেরে তৈরি হওয়া লকডাউন পরিস্থিতি গোটা দেশে। দেশের বিভিন্ন জাতীয় সড়ক ধরে পরিচয় শ্রমিকরা গৃহভিমুখে যাত্রা করেছেন। তারই মধ্যে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে আমফান ঘূর্ণিঝড়ের (Amphan Cyclone Strom) ভ্রুকুটি। আগামীকাল সন্ধ্যায় সেই ঝড় আছড়ে পড়বে এই দুই রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায়। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ঝড়ের প্রভাবে প্রভাবিত হবে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। সেই ঝড়ের দাপট থেকে শ্রমিকদের বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বেশ কিছু পরামর্শ দিলেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। মঙ্গলবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্টে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা লেখেন বহরমপুরের সাংসদ।
তিনি লেখেন, “ওড়িশা থেকে কোনও ট্রেন নেই, বাসেরও ব্যবস্থা নেই। নিরুপায় হয়ে প্রচুর মানুষ হাঁটছে, এদিকে পুলিশের পেটানির ভয়ে রাস্তা ছেড়ে উপকূলবর্তী রাজ্যের সীমান্তে জঙ্গলে লুকিয়ে, জঙ্গল পথেই রাজ্যে ঢোকার চেষ্টা করছেন।” অধীর লিখেছেন, “ওদিকে আমফন ঘূর্ণি ঝড় ধেয়ে আসছে, মুখ্যমন্ত্রী বিজ্ঞাপনে অনেক খরচ করেন। জনস্বার্থে বিজ্ঞাপনে আশ্বাস দিন তাদের, পুলিশ পেটাবে না, নিকটবর্তী থানায় যেতে বলুন ওই মানুষগুলোকে, সরকার আশ্রয় দিক।” বার্তার শেষ প্রান্তে পরামর্শের ছলে বেশ কিছু কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন অধীর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তার বার্তা, “লাঠি মেরে সব সময় শাসন চলে না, বিকল্প উপায় বলুন তাদের, ঝড়ের পরে, সরকারি পরিবহনের আশ্বাস দিন,আমফন ঝড়ের সমূহ বিপদ থেকে তাদের বাঁচান, সতর্ক করুন।”
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কংগ্রেসের লোকসভা দলনেতা অধীর চৌধুরীর সম্পর্ক বরাবরই বন্ধুর। নানা ইস্যুতে পরস্পরের মুখোমুখি হলে একে অপরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন না কেউই। লকডাউন পর্ব শুরু হওয়ার পরপরই পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নীতিকে বারবার সমালোচনার মুখে ফেলেছেন তিনি। যে সমস্ত শ্রমিকরা ওড়িশা হয়ে পশ্চিমবঙ্গের পথে রওনা হয়েছেন তাদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন বহরমপুরের পাঁচ বারের সাংসদ। সেই উদ্বেগের কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর প্রশাসনকে বিঁধেছেন অধীর।