কাশ্মীরের আইজি রাহুল গান্ধীর দাবি নস্যাৎ করেন। রাহুল গান্ধী একদিন আগেই বলেছিলেন যে, কাশ্মীর থেকে ফায়ারিং এর রিপোর্ট ওনার কাছে এসেছে। কাশ্মীর রাঞ্জের আইজি এসপি পাণি একটি ভিডিও জারি করে গোটা ঘটনার বিবরণ দেন। উনি পরিস্কার ভাবে বলে দেন, বিগত ৬ দিনে কাশ্মীরে একটি ফায়ারিং এর ঘটনাও ঘটেনি।
এসপি পাণি বলেন, ‘উপত্যকায় গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে কিছু আন্তর্জাতিক মিডিয়া রিপোর্ট নিয়ে আমি স্পষ্ট বলতে চাই যে, কাশ্মীরে বিগত ছয় দিনে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। এই রিপোর্ট ভুল, উপত্যকায় বিগত এক সপ্তাহ ধরে শান্তি বজায় আছে।”
জম্মু কাশ্মীর পুলিশ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলে, ‘মুখ্য সচিব আর জম্মু কাশ্মীর এর ডিজিপি মানুষের কাছে মনগড়া খবর গুলোকে বিশ্বাস না করার অনুরোধ করেছেন। কাশ্মীরে বিগত ছয় দিনে ফায়ারিং এর কোন ঘটনা ঘটেনি। কাশ্মীরে গত সপ্তাহ থেকে একটিও গুলি চালানো হয়েনি। কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখন শান্তিপূর্ণ, সবাই সহযোগিতা করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কারফিউ আসতে আসতে কমজোর করা হচ্ছে। শ্রীনগর এবং কাশ্মীরের অন্য এলাকায় মানুষ ঈদের জন্য কেনাকাটা করছেন।”
প্রসঙ্গত, শনিবার রাহুল গান্ধী মিডিয়া সামনে দাবি করে বলেন যে, জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি খুবই খারাব। উনি বলেছিলেন যে, ‘জম্মু কাশ্মীর থেকে হিংসার খবর আমার চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে। জম্মু কাশ্মীরে কি হচ্ছে, সেটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরিস্কার করে জানাক।” রাহুল গান্ধী দাবি করে বলেন যে, ‘আমার কাছে রিপোর্ট আছে যে, জম্মু কাশ্মীরে হিংসা হচ্ছে, সেখানকার মানুষদের সাথে অত্যাচার করা হচ্ছে।”
রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, আমি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এসেছিলাম। সেখানে কংগ্রেসের নতুন সভাপতির জন্য নির্বাচন হচ্ছিল। আর এরই মধ্যে আমি খবর পাই যে, জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি ভালো না। সেখান থেকে হিংসার খবর আসছে। আর এর জন্য আমরা বৈঠক স্থগিত করে জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি জানার জন্য এই বয়ান দিই।