ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। কাল থেকেই কড়া পুলিশি নিরাপত্তা কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে বিরোধীদের ওপর শাসক দলের বেলাগাম হিংসা, অত্যাচারের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে ৬টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই ঘটনাবলির তদন্তভার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে দিল উচ্চ আদালত।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি জানিয়েছেন, এটা কোনও মামুলি হিংসার ঘটনা নয়। খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনার অভিযোগও রয়েছে। তাই অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় যাঁরা যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার।
বলা হয়েছে, ৬ সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইকে বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তিন জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে সিট। সিটের নজরদারিতে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের কোনও এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। হাইকোর্ট এও জানিয়েছে, অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মামলা গুলির তদন্ত করবে সিট।
কোন তিন জন থাকছেন এই স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমে? জানা গেছে, কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র, সুমন বালা সাউ এবং নিলেশ কুমারকে নিয়ে সিট গঠন করা হচ্ছে।
নির্বাচন পরবর্তী হিংসার পর্বে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের তদন্তে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতে বলেছিল বেঞ্চ। সেই তদন্ত কমিটি মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছিল। অভিযোগ, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে ৩৩৫৪টি অভিযোগ এসেছে। সেখানে দাঁড়িয়ে পুলিশ মাত্র ৬৫১টি এফআইআর দায়ের করেছে। ধর্ষণ, খুনের মতো মারাত্মক অপরাধের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার সুপারিশও করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী রায়দান করা হল আজ। তবে এই ভোট পরর্তী হিংসা মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করা যাবে না বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত।
এ ব্যাপারে যদি নতুন করে কোনও অভিযোগ জানানোর থাকে তবে তার জন্য আলাদা ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হচ্ছে।