কেন্দ্রের কাছে প্রশ্ন রাখার পরের দিনই বেশ কিছুটা নরম সুর সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্তা আদর পুনাওয়ালার। রবিবার পুনাওয়ালা করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন রাষ্ট্রসংঘের বার্ষিক সাধারণ সভায় যেভাবে করোনা মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকাকে তিনি তুলে ধরেছেন. তা রীতিমত প্রশংসনীয়।
রবিবার সেরামের সিইও বলেন ভারতের করোনা মোকাবিলায় অবদানের কথা গৌরবের সঙ্গে তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তা দেশের জন্য গৌরবের মুহুর্ত। দেশবাসীর কথা ভেবে যেভাবে এই অতিমারীর মোকাবিলা করছেন তা নিঃসন্দেহে
একটি ট্যুইট বার্তায় পুনাওয়ালা বলেন নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত পজেটিভ। যা করোনা কালে লড়াই করতে সহায়ক হয়েছে। যেভাবে ভারতকে ভ্যাকসিন সরবরাহের ক্ষেত্রে বিশ্ব মঞ্চে চালকের আসনের বসিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী, তা অতুলনীয়। তাঁর চালিকাশক্তি ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতায় ভারত গর্বিত। সাধারণ মানুষের জন্য তাঁর চিন্তা ভাবনা অন্য স্তরের।
শনিবার মোদী বলেন ‘ভারতই বিশ্বের সবথেকে বড় ভ্যাক্সিন উৎপাদনকারী দেশ। তাই আজ গ্লোবাল কমিউনিটিকে আশ্বাস দিয়ে বলতে চাই, এই ক্রাইসিসে পুরো মানবজাতিকে সাহায্য করতে ভ্যাক্সিন উৎপাদন ও ডেলিভারি করবে ভারত।’ তিনি জানান, ভারত ফেজ ৩ ট্রায়ালের দিকে এগোচ্ছে। ১৫০ টি দেশে চিকিৎসা সংক্রান্ত সাহায্য করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মোদী।
মোদী এদিন আরও বলেন, ভারত সবসময় মানবজাতির স্বার্থের কথা ভেবে এসেছে। নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়নি। ভারতীয় দর্শনের নীতি এই পথেই বরাবর চলে এসেছে। প্রতিবেশী আগে নীতি থেকে একাধিক বিষয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও বৃদ্ধির জন্য সমস্ত অঞ্চলে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে সর্বদা মানবজাতির কল্যাণের জন্য ভারত করেছে। নিজের স্বার্থ দেখেনি।
এদিকে, শনিবারই ট্যুইটারে স্বাস্থ্যমন্ত্রককে সরাসরি প্রশ্ন করেন সেরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালা। তাঁর প্রশ্ন প্রত্যেক ভারতীয়কে করোনা ভ্যাকসিন দিতে গেলে খরচ হবে ৮০ হাজার কোটি টাকা। সেই অর্থ কি কেন্দ্র সরকারের কাছে রয়েছে? পরের বছরই করোনা ভ্যাকসিনের জন্য এই টাকার প্রয়োজন বলে সেরাম কর্তা জানান। তিনি বলেন ভ্যাকসিন সরবরাহ ও উৎপাদনের জন্য যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন, তা কী কেন্দ্র সরকার দিতে পারবে।
তবে এই প্রশ্ন তোলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেরাম কর্তার সুর নরম করার পিছনে বিশেষ কোনও কারণ রয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।