কৃষি বিল নিয়ে বিরোধীদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ‘দি ফার্মার্স প্রডিউস অ্যান্ড কমার্স (প্রমোশন অ্যান্ড ফেসিলিটেশন) বিল’, ‘দি ফার্মার্স (এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড প্রটেকশন) বিল’ এবং ‘দি এসেনশিয়াল কমোডিটিস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল’ নিয়ে কংগ্রেস শুরু থেকেই বিরোধিতা করে আসছে। সেই প্রচারকে ভুয়ো ও পুরোপুরি মিথ্যে বলে অভিযুক্ত করলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, “সেই সব রাজনৈতিক দলগুলো এর বিরোধিতা করছে যারা ভোটের সময় এই কৃষি বিলগুলোর পক্ষে সওয়াল করেছিল। অথচ, আমরা যখন সেই বিলগুলো কার্যকর করছি, তখন তাঁরা এই বিলের বিরোধিতা করছে।”
এদিন মোদি বলেছেন, “আমরা কৃষকদের জন্য কাজ করতে চাইছে। আর বিরোধীরা ফোড়েদের সাহায্য করতে চাইছে। যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।” তিনি আরও বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বিলের মারফৎ এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিতে চলেছে কৃষকদের জন্য। কিন্তু, যারা দেশে দশকের পর দশক শাসন করেছে, তখন কৃষক সমাজের জন্য কিছু করেনি। এখন ষড়যন্ত্র করে কৃষকদের হিতের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন।” গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি কৃষি বিলের বিরোধিতা করে মন্ত্রিত্ব ছাড়েন অকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কৌর বাদল। এরপর তাঁর স্বামী তথা শিরোমণি অকালি দলের (Shiromani Akali Dal) শীর্ষ নেতা সুখবীর সিং বাদল বলেছেন, “তাঁরা বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে থাকবেন কিনা ভাবছেন। বিজেপির (BJP) সবচেয়ে পুরানো জোটশরিকদের অন্যতম হল অকালি দল।”
কৃষি বিল নিয়েই সরকারের ওপরে চাপ বাড়াচ্ছেন হরিয়ানায় বিজেপির শরিক দুষ্যন্ত সিং চৌতালা। জননায়ক জনতা পার্টির (Jananayak Janata Party) নেতা তথা হরিয়ানার উপ মুখ্যমন্ত্রী চৌতালার প্রধান সমর্থক কৃষকরাই। অকালি দলের মতো তাঁরাও মনে করেন, বিজেপি সরকারের ওই বিলগুলি কৃষকদের ক্ষতি করবে। শুক্রবার সকালে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা মনোহরলাল খট্টরের সঙ্গে দেখা করেন চৌতালা। পরে তিনি বৈঠকে বসেন তাঁর দলের অন্যান্য নেতার সঙ্গে। হরিয়ানায় জননায়ক জনতা পার্টির ১০ জন বিধায়ক আছেন। ৯০ টি আসন বিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভায় চৌতালার সাহায্যেই গরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বিজেপি জোট।