বিরোধীদের লাগাতার তোপ। দেশজুড়ে চাপা উষ্মা। কোনও কিছুতেই হচ্ছে না কাজ। পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এখনও নির্বিকার সরকার। এদিকে নিয়ম করে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত। টানা ২১ দিন মূল্যবৃদ্ধির পর রবিবার ‘বিরাম’ পেয়েছিল জ্বালানি। সোমবার ফের নতুন করে বাড়ানো হল দাম।
সোমবার পেট্রলের (Petrol) দাম লিটারপ্রতি ৫ পয়সা, এবং ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ১৩ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। আপাত দৃষ্টিতে এই মূল্যবৃদ্ধি সামান্য। কিন্তু গত ২১ দিনে যে পরিমাণ মূল্য বেড়েছে, তা হিসেবের মধ্যে ধরলে এই সামান্য বৃদ্ধিই আম আদমির নাভিস্বাস তোলার জন্য যথেষ্ট। সোমবারের মূল্যবৃদ্ধির ফলে দিল্লিতে পেট্রলের দাম বেড়ে হয়েছে লিটারপ্রতি ৮০ টাকা ৪৩ পয়সা। রাজধানীতে ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে লিটারপ্রতি ৮০ টাকা ৫৩ পয়সা। বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে ছবিটা আরও খারাপ। সোমবারের মূল্যবৃদ্ধির জেরে মুম্বইয়ে পেট্রলের নতুন দাম হয়েছে লিটারপ্রতি ৮৭ টাকা ১৯ পয়সা। ডিজেল (Diesel) বিকোচ্ছে লিটারপ্রতি ৭৮টাকা ৮৩ পয়সায়। শহর কলকাতায় পেট্রল বিকোচ্ছে ৮২ টাকা ১০ পয়সা লিটার। ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি বেড়ে হয়েছে ৭৫ টাকা ৬৪ পয়সা। দেশের অন্তত ১৩টি বড় শহরে পেট্রলের দাম ৮০ টাকার বেশি। রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের কয়েকটি শহরে তা ৯০ টাকা পেরিয়েছে। জ্বালানির মুল্যবৃদ্ধির এই প্রভাব ইতিমধ্যেই সরাসরি খোলা বাজারে পড়তে শুরু করেছে। সবজি বাজারগুলিতে জিনিসের দাম অগ্নিমুল্য। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজির দাম বাড়ার ফলে বেচাকেনাও আগের তুলনায় অনেকটা কম।
আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকা সত্বেও দেশে পেট্রল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণ, কেন্দ্রের চাপানো অতিরিক্ত অন্তঃশুল্ক। আসলে লকডাউনে যে বিপুল করের ঘাটতি হয়েছে, তা পেট্রল-ডিজেলের মাধ্যমে পুষিয়ে নিতে চায় সরকার। বিরোধীরা যার তীব্র প্রতিবাদ করছে। আজ দেশজুড়ে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে কংগ্রেস (Congress)। ব্লকস্তরে সামাজিক দুরত্ব মেনে হবে প্রতিবাদ কর্মসূচি। তারপর জেলাশাসকদের কাছে রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে হলফনামা দেবেন কংগ্রেসের জেলাস্তরের নেতারা।