নটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ককর্মী ইউনিয়নের দুদিনের দেশব্যাপী ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অভয় দিলেন, সব ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের উদ্যোগের বিরোধিতা করেই দেশজুড়ে ধর্মঘট ডেকেছিল কর্মী ইউনিয়নগুলি। ব্যাঙ্ককর্মীদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, আমরা একটা পাবলিক এন্টারপ্রাইজ পলিসি ঘোষণা করেছি, যাতে চারটি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সেক্টরের উপস্থিতি থাকবে। এতে আর্থিক সেক্টরও রয়েছে। সব ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ হবে না। এমনকী যে ব্যাঙ্কগুলি বেসরকারি হাতে যাবে, সেগুলিও কাজ করে চলবে, তাদের কর্মীদের স্বার্থও সুরক্ষিত থাকবে। তাঁদের বেতন বা পদ বা পেনশন, সব কিছুই মাথায় রাখা হবে।
ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়নসের ব্যানারে আন্দোলনে নামা ইউনিয়নগুলি সোমবার দাবি করে, প্রায় দশ লাখ ব্যাঙ্ককর্মী ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন, ধর্মঘট সফল। সরকারের অবস্থানের হয়ে সওয়াল করে নির্মলা বলেন, ব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তিকরণ বা বেসরকারিকরণ কোনও তড়িঘড়ি নেওয়া সিদ্ধান্ত নয়। তিনি আরও বলেন, এমন অনেক ব্যাঙ্কও আছে যেগুলি দারুণ কাজ করছে। কিছু ব্যাঙ্ক ঠিকঠাক চলছে। কিন্তু আমাদের এখন এমন ধরনের ব্যাঙ্ক চাই যারা ব্যাবসা বাড়াতে সক্ষম। আমাদের চাই স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার বড় আয়তনের ব্যাঙ্ক, আরও অনেক, যাতে এ দেশের আকাঙ্খাজাত প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হয়।
যদিও সরকারি বক্তব্যে খুশি নয় বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের যেমন অভিযোগ, সরকার কোটি কোটি অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের মতামত না নিয়েই দুটি সরকারি ব্যাঙ্ক বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেস দাবি করে, নির্মলা বিবৃতি দিয়ে ব্যাঙ্ককর্মীদের ভীতি দূর করুন। রাজ্যসভার জিরো আওয়ারে মল্লিকার্জুন বলেন, দেশের বারোটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের তেরো লাখ কর্মী কাজ করেন, দেশব্যাপী প্রায় এক লাখ শাখা আছে। সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলির কাঁধে ভর করেই জিরো ব্যালেন্স জন ধন অ্যাকাউন্টের মতো স্কিম চালু করতে পেরেছে বলেও জানান তিনি।