ভিন রাজ্যে আটকে পড়া মানুষদের স্বার্থে নীতিশের সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয় : আর কে সিনহা

 করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ রুখতে ও দেশবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে দেশজুড়ে লাগু লকডাউনের জেরে বিভিন্ন রাজ্যের শ্রমিক, পড়ুয়া এবং পর্যটকরা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জারি করা নির্দেশিকার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই খানিকটা স্বস্তি মিলেছে। এবার তাঁরা নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছতে পারবেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নতুন নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী, কলামিস্ট এবং রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ রবীন্দ্র কিশোর সিনহা (Rabindra Kishore Sinha)। একইসঙ্গে কারও নাম উল্লেখ না করেই বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি।আর কে সিনহা প্রশ্ন তুলেছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বিরোধীরা যে বিবাদ উত্থাপন করছে, সর্বাগ্রে তাঁদের বলতে হবে প্রবাসী শ্রমিকরা বিহারের বাইরে গিয়েছিল কেন।


বৃহস্পতিবার বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ আর কে সিনহা বলেছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত আটকে থাকা শ্রমিক, পড়ুয়া ও পর্যটকদের বিহার নিয়ে আসার জন্য এবং তাঁদের নিজ নিজ জেলায় নিয়ে যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সিদ্ধান্তের ফলে তাঁদের পরিজনরা স্বস্তি পাবেন। প্রাক্তন সাংসদ আরও বলেছেন, যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন আরও আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার ছিল, তাঁদের বোঝা উচিত আগের তুলনায় এখন পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি কারণ তখন সংক্রমিতের সংখ্যা ৩ দিনে দ্বিগুন হচ্ছিল এখন পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রবাসী শ্রমিক ও পড়ুয়াদের প্রত্যাবর্তন আগের তুলনায় এখন অনেকটাই নিরাপদ হবে, ঝুঁকি কম থাকবে।


রাজ্যগুলিকে ৬ দফা নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককেন্দ্রীয় সরকার একদিন আগেই লকডাউনের জেরে অন্য রাজ্যে আটকে থাকা ছাত্র-ছাত্রী, শ্রমিক এবং পর্যটকদের নিজ নিজ রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। এবার নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছতে পারবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা মানুষজন। এজন্য বাসের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। এ প্রসঙ্গে রাজ্যগুলিকে ৬ দফা নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সমস্ত রাজ্যে নোডাল অথরিটি গঠন করা হবে। এরপর বাড়িতে যেতে ইচ্ছুকদের রেজিস্ট্রেশন হবে। যাত্রার প্রাক্কালে প্রত্যেকের মেডিক্যাল পরীক্ষা হবে। যাঁদের শরীরে উপসর্গ দেখা দেবে না, তাঁদেরই অনুমতি দেওয়া হবে। যে সমস্ত বাসে নিয়ে যাওয়া হবে, সেই সমস্ত বাস দূষণ মুক্ত করা হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। গন্তব্যে পৌঁছনোর পর প্রত্যেককে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এই সময়ের মধ্যে তাঁদের নিজেদের মোবাইল ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ চালু রাখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.