“বাংলায় সিবিআই, আয়কর তল্লাশি হচ্ছে বলে দিদি রেগে যাচ্ছেন। কাল এখানকার কোনও কয়লা ব্যবসায়ী লালাজির ওখানে তল্লাশি হয়েছে। তাতে দিদি রেগে গেছেন। মমতাজি আগে বলুন লালাজির সঙ্গে ওনার কীসের? মমতা দিদির এত চিন্তা কেন? কয়লার রাজস্বের অংশ তো রাজ্যও পায়। সেই কয়লা চুরি হলে চোরকে ধরা যাবে না? এই চিন্তাটা যদি দিদি রাজ্যের মহিলাদের জন্য করতেন তাহলে ভাল হতো!”
প্রসঙ্গত আসানসোল অঞ্চলে একজন কয়লা ব্যবসায়ী রয়েছেন যাঁর নাম লালা। বৃহস্পতিবার বেআইনি কয়লা কারবার নিয়ে আসানসোল জামুড়িয়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় তল্লাশিতে নেমেছিল আয়কর দফতর। অভিযোগ, ১৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। প্রচুর নগদ টাকা, সোনা ও রুপো বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দফতর।
• দিদির সরকার তিন রকম আইন করে রেখেছে বাংলায়। ভাইপোর জন্য এক আইন। ভোট ব্যাঙ্কের জন্য এক আইন। বুঝতেই পারছেন আমি ভোট ব্যাঙ্ক বলতে কী বলতে চাইছি। আর আম বাঙালির জন্য আর এক আইন।
• ২০১৮ সালের পর থেকে রাজ্যে কী কী অপরাধ হয়েছে সেই তথ্য রাজ্য সরকার ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোকে দেয়নি। আমি দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। এসব খোঁজ আমাকে রাখতে হয়। শেষ যে তথ্য ২০১৮ সালে রাজ্য সরকার দিয়েছিল তাতে মহিলাদের উপর অপরাধে বাংলা ছিল দেশের মধ্যে শীর্ষে। অ্যাসিড হামলা, ধর্ষণ, নারী নিগ্রহ— কোনওটায় একে, কোনওটায় দুইয়ে।
• মমতার জমানায় বাংলায় তিনটে জিনিস হয়েছে। এক- পুলিশ-প্রশাসনের রাজনীতিকরণ, দুই- রাজনীতির অপরাধীকরণ এবং তিন- বেলাগাম দুর্নীতি।
• বাংলার পুলিশের জন্যই বিমল গুরুং ফেরার ছিলেন। এখন তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? দিদির সঙ্গে থাকলেই সব মাফ! তাই তো! রাজনৈতিক প্রতিহিংসার এ হল চরম নিদর্শন।
• দিদি চাইছেন ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করতে। বাংলার মানুষ কি পরিবারতন্ত্র চান! নাকি অধিকার চান উন্নয়নের?
• বাংলার মানুষ অনেক আশা নিয়ে বাংলায় পরিবর্তন এনেছিল। কিন্তু কী হল? মা-মাটি-মানুষের নামে স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুষ্টিকরণ-তানাশাহি-তোলাবাজি চালু করে দিলেন।
• বাংলায় ২০০-র বেশি আসন নিয়ে বিজেপি সরকার গড়বে। মিলিয়ে নেবেন। আমি মমতাদির থেকে বয়সে ছোট হতে পারি। কিন্তু রাজনীতিটা অনেক দিন ধরেই করছি। গোটা দেশ ঘুরি। মমতার সরকারের পতন হবেই। কেউ রুখতে পারবে না।
• বাংলায় সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করানোর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আমি রাজ্যের মানুষকে আশ্বাস্ত করতে চাই, বিজেপি কর্মীরা আপনাদের সাহায্য করবে। মনে রাখবেন, জনতা যখন রাস্তায় নেমে আসে তখন ক্যাডার, গুণ্ডা কেউ রুখতে পারে না।
• বাংলায় ৩৫৬ ধারা তথা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে কি না তা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে মন্তব্য করা যায় না। এটা সাংবিধানিক ব্যাপার। তবে এখানে আর ৩৫৬ জারি করে কী হবে? ক’মাস পরে তো সরকারই বদলে যাবে।