চতুর্থ বারের জন্য কি বিহারের কুর্সি দখল করতে পারবেন নীতীশ কুমার? নাকি প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া কাজে লাগিয়ে ফের বিহারের মসনদে যাবেন যাদব পরিবারের কেউ? সেই প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়া শুরু আজ থেকে।
কোভিড পরিস্থিতিতে এই প্রথম এত বড় ভোট হতে চলেছে দেশে। ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় আজ ৭৩টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে। গোটা দেশ তাকিয়ে রয়েছে বিহারের ভোটের দিকে। কর্মসংস্থান, অর্থনীতির পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদের ইস্যুও বড় জায়গা করে নিয়েছে বিহারের ভোটে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এনডিএ-এর বিড়ম্বনা বাড়িয়েছেন চিরাগ পাসোয়ান। লোক জনশক্তি পার্টির নেতা তথা সদ্য প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানের ছেলে লাগাতার নীতীশের সমালোচনা শুরু করেছেন। বিজেপি ভাল কিন্তু নীতীশ কুমার খারাপ– অদ্ভুত এই অবস্থান নিয়ে জেডিইউ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রার্থী দিয়েছে লোজপা।
ধন্দ কাটাতে বিহার বিজেপির শীর্ষ নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী তীব্র সমালোচনা করেছিলেন চিরাগের। অনেকের ধারণা ছিল, পিছন থেকে বিজেপিই বুঝি এই কাজ করাচ্ছে চিরাগকে দিয়ে।
যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী তথা প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিহারে এনডিএ দুই তৃতীয়াংশ আসনে জিতবে। তিনি আরও বলেছেন কে কত আসন পেল বড় কথা নয়। নীতীশ কুমারই হবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারে কোনও যদিও কিন্তু নেই।
২০১৫ সালে লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে মহাজোট করে মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ। পরে সেই জোট ভেঙে দিয়ে এনডিএতে শামিল হয়ে যান তিনি। অনেকের মতে, জনাদেশ নিয়ে উল্টো শিবিরে ভিড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়তে পারে এবারের ভোটে। যাদব ও মুসলিম ভোট নীতীশের বিরুদ্ধে যেতে পারে বলে মত অনেকের।
অন্য দিকে লালুপ্রসাদের ছোট ছেলে তেজস্বী যাদব বিরোধীদের মুখ। কংগ্রেস ও বাম দলগুলির সঙ্গে আসন সমঝোতা করে ভোটে লড়ছে আরজেডি। দশ লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তেজস্বী। সব মিলিয়ে বিহারের লড়াই টানটান।
প্রসঙ্গত, উনিশের লোকসভা ভোটে বিজেপি একা ৩০০ পার করার পরেও রাজ্যের ভোটগুলিতে ভাল ফল হয়নি গেরুয়া শিবিরের। হাত ছাড়া হয়েছে মহারাষ্ট্র এবং বিহার লাগোয়া ঝাড়খণ্ড। এখন দেখার বিহারে কী হয়।