দেশের জওয়ানদের কৃতিত্বে সারা ভারত গর্বিত। গোটা দেশ সেনা জওয়ানদের পাশে রয়েছে। সংসদও সেই বার্তাই দেবে। সোমবার সংসদের বাদল অধিবেশনে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের সামনে এই বক্তব্যই রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি বলেন সংসদের এই অধিবেশন বেশ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন বলেন এবারের বাদল অধিবেশনের দুটি দিক রয়েছে, একদিকে রয়েছে করোনা নিয়ে আতঙ্ক, অন্যদিকে দেশের প্রতি কর্তব্য ও দায়িত্ব। এই দুটি বিষয়কে মাথায় রেখেই সংসদের কাজ শুরু হচ্ছে। সাংসদরাও সেই কর্তব্য পালন করতেই এগিয়ে এসেছেন।
করোনা আতঙ্ক ভুলে সাংসদরা এগিয়ে এসেছেন দেশের প্রতি কর্তব্য করতে। প্রত্যেক সাংসদকে তাই অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রথমবার রাজ্যসভা ও লোকসভা দুটি কক্ষের অধিবেশন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বসবে। প্রত্যেক সাংসদ এই পরিবর্তন মেনে নিয়েছেন। শনি ও রবিবারও অধিবেশন বসবে বলে এদিন জানান প্রধানমন্ত্রী।
এদিন দেশের সেনাদের প্রতি নিজের শ্রদ্ধা ও আন্তরিক ধন্যবাদ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রতিবেশি দেশের আগ্রাসনের যে উপযুক্ত জবাব ভারতীয় সেনারা দিয়েছে, তা অতুলনীয় বলে এদিন জানান মোদী। দেশের সার্বভোমত্ব রক্ষায় ভারতীয় সেনারা সদা সচেষ্ট বলে মোদী উল্লেখ করেন।
তাই সংসদের অধিবেশনেও উঠে আসবে ভারতীয় বীর সেনাদের কথা বলে আশাপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে করোনা সংক্রমণ প্রসঙ্গ। যতদিন ভ্যাকসিন না বেরোচ্ছে, ততদিন সতর্ক থাকতে হবে বলে জানান তিনি। বিশ্বের প্রতিটি মানুষ করোনা ভ্যাকসিনের দিকে তাকিয়ে। ভারত অধীর আগ্রহে এর জন্য অপেক্ষা করছে বলে উল্লেখ করেন মোদী।
এদিকে, এই অধিবেশনে ঝড় তুলতে পারে ভারত চিন সীমান্ত সমস্যা। বাদল অধিবেশনে চিনা আগ্রাসন ও সীমান্তের উত্তাপ ইস্যুতে বিবৃতি রাখতে পারে কেন্দ্র।
সূত্রের খবর রবিবারের বিজনেস অ্যাডভাইসারি কমিটির বৈঠকে এই ইস্যুতে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা চলেছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে সংসদে ভারত চিন ইস্যুতে বিবৃতি পেশ করবে সরকার।
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী জানান মঙ্গলবার এই ইস্যুকে সামনে রেখে একটি বিশেষ আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই আলোচনা বা বৈঠকেই জানা যাবে কেন্দ্র বিবৃতি দেবে কিনা। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার যে কোনও বিষয়েই আলোচনায় রাজি।