গতকাল উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউতে কট্টরপন্থীদের শিকার হিন্দু সমাজ সংগঠনের নেতা কমলেশ তিওয়ারী। আইসিস কায়দায় গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে হিন্দু নেতা কমলেশ তিওয়ারীকে। লক্ষণীয় বিষয় এই যে, কমলেশ তিওয়ারীকে ফাঁসি দেওয়ানোর জন্য উত্তরপ্রদেশের মুসলিম সংগঠনগুলি উঠে পড়ে লেগেছিল। অভিযোগ ছিল যে, উনি ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মহম্মদকে নিয়ে আপত্তিজনক কথা বলছিলেন। যদিও আদালতে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হন এবং উনি ছাড়া পান।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, গেরুয়া পোশাক পরিধান করে হিন্দু সেজে মিষ্টির বাক্স নিয়ে তিওয়ারির বাড়িতে আসে কট্টরপন্থীরা। হিন্দু সমাজ পার্টির অফিসে ঢুকলে তাদের চাও খেতে দেওয়া হয়। মিষ্টির বাক্স এ ছিল বন্ধুক। কমলেশ তিওয়ারিকে সামনে পেয়ে মিষ্টির বাক্স থেকে বন্দুক বের করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তবে গুলি চালানোর পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে দেওয়া হয় এবং দেহের নানা অংশে কোপ মারা হয়। এরপর কিং জর্জ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
গতকালের হত্যাকাণ্ডের খবরের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত প্রথম গেফতারির খবর আসছে। পুলিশ বিজনৌর থেকে এই হত্যাকাণ্ডের মামলায় এক মৌলানাকে গেফতার করেছে। পুলিশ মৌলানা আনোয়ারউল হক-কে নগিনা এর আশিয়ানা কলোনি থেকে গেফতার করেছে। যদিও এই খবরের এখনো পর্যন্ত আধিকারিক ঘোষণা জানা যায়নি।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই মৌলানা ২০১৫ সালে কমলেশ তিওয়ারীকে হত্যা করতে পারলে ৫১ লক্ষ টাকার পুরস্কার দেবে বলে জানিয়েছিল। আরেকদিকে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকার সন্দেহে সুরাট থেকে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।