জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের সমস্ত মসজিদের উপর এখন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নজর পড়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের সব জেলায় উপস্থিত মসজিদের উপর রিপোর্ট চেয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। মসজিদগুলির সঠিক লোকেশন, প্রশাসনিক সূচনা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও মৌলবীর নাম তথ্য, মসজিদের ফান্ডিং ও মসজিদের সঞ্চালনের তথ্য জানাতে হবে। জেলা পুলিশ আধিকারিকদের থেকে তথ্য নিয়ে অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।
এই নির্দেশ ধর্মের উপর দখলদারি বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামিক ধর্মগুরুরা। মসজিদের উপর সরকারের পদক্ষেপের বিরোধ করেছন ইসলামিক ধর্মগুরুরা। জানিয়ে দি জম্মু কাশ্মীরের মসজিদগুলি বহু সময় ধরে প্রশ্নের মুখোমুখি রয়েছে। আসলে কাশ্মীরে এমন বহু মসজিদ রয়েছে যেখান থেকে ওয়াহাবি বিচারধারা সম্প্রসারিত করা হয়। কাশ্মীরকে হিন্দু শুন্য করার জন্য যে জিহাদের ডাক দেওয়া হয়েছিল সেক্ষেত্রেও মসজিদগুলির উপর অভিযোগ উঠেছিল। অমিত শাহের নেতৃত্বে এখন ওই মসজিদগুলির উপরেই কড়া নজর রাখার প্রস্তুতি আরম্ভ হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সরকার ধর্মের নামে আতঙ্কবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার বিরুদ্ধে লড়াইতে নেমেছে। বিশেষ করে অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে কাশ্মীরের উপর আতঙ্কবাদ দমনের ক্ষেত্রে জোর দেওয়া শুরু হয়েছে। সম্প্রতি কাশ্মীর ঘাঁটিতে অতিরিক্ত ১০ হাজার সৈন্য নামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর উপর রীতিমতো আক্রোশ হয়ে রয়েছে কট্টরপন্থীরা। মেহেবুবা মুফতি সরকারের পদক্ষেপের উপর মন্তব্য করে বলেছেন, এতে কাশ্মীরের লোকজন ভয়ভীতি হচ্ছে। মোদী সরকার কাশ্মীর থেকে ধারা 35A ও 370 মুছে ফেলার উপরেও ইঙ্গিত দিয়েছে।