করোনা (Corona) -সংক্রমণ ঠেকাতে চলা লকডাউন (Lockdown) সার্থক করার জন্য বাড়ি থেকে না বেরোনোর আবেদন বারবার করছেন প্রধানমন্ত্রী , মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তা ও চিকিসকেরা। তাতেও কি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের হুঁশ ফিরেছে? লকডাউন কি বাস্তবে সার্থক?
সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই কলকাতা শহরের বিভিন্ন বিশেষ জনগোষ্ঠীপূর্ণ এলাকায় চোখে পড়ছে জটলা। ইতিউতি চলছে আড্ডাও। বাজারে ভিড়ও বছরের অন্য দিনের মতোই। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের (Lockdown) বিকল্প নেই, এ কথা বারবার প্রচার করা হলেও বহু ক্ষেত্রেই ভাঙা হচ্ছে শৃঙ্খলা। আর এ সব কারণেই প্রমাদ গুনছে স্বাস্থ্য দফতর এবং পুলিশ-প্রশাসন।
এনিয়ে রাজ্য সরকারকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজ্যে মুখ্যসচিবকে লেখা এক চিঠিতে লেখা হয়েছে, কলকাতার রাজাবাজার (Rajabazar) , নারকেলডাঙ্গা (Narkeldangha) , তোপসিয়া (Topsia) , মেটিয়াবুরুজের (MeteaBrews) মতো জায়গায় লকডাউন মানছেন না সাধারণ মানুষ। সোশ্যাল ডিস্টানসিংও মানা হচ্ছে না। এনিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাতে হবে।
এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৫ জন। মৃতের সংখ্যা ৫। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ জন।
উক্ত পত্রে আরও লেখা হয়েছে। পুলিসের সামনেই ধর্মীয় জমায়েত হচ্ছে। রাজনৈতিক দল ত্রাণ বিলি করছে। সরকাররি প্রতিষ্ঠানকে কোনও কোনও ক্ষেত্রে ত্রাণ দিতে দেখা যাচ্ছে না। এনিয়ে রাজ্য সরকারকে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। লকডাউন যাতে ভাঙা না হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রসঙ্গত , গতকাল রাত্রিতে মেটিয়াবুরুজ এলাকায় কিছু জমায়েত হয়। পুলিশ সেই জমায়েত ভাঙতে এলে এবং এলাকার মানুষকে covid 19 তথা লক ডাউন নিয়ে সচেতন করতে এলে এলাকার লোকজন পুলিশকে আক্রমন করে , যার মধ্যে ইঁটপাটকেল ছোঁড়াও সামিল ছিল।
মেটিয়াবুরুজ (MeteaBrews) , রাজাবাজার (Rajabazar) , পার্কসার্কস সহ বিশেষ বিশেষ জনগোষ্ঠী পূর্ণ এলাকা গুলিতে একরকম প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখানো হয় তা আমরা আগেও দেখেছি। লকডাউন শুরু হবার সময় পার্কসার্কাস ময়দান থেকে এরাই কিন্তু caa বিরোধী আন্দোলন তুলতে চায় নি । ভাঙড়ে মদের আড্ডা তুলতে যাওয়ায় পুলিশের উপর আক্রমণ হয়।
এদিকে, লকডাউন ভাঙা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি রাজ্যপালকে জানান, নিজামুদ্দিন থেকে যাঁরা ফিরেছেন, তাঁদের ধরা হচ্ছে না। সারা দেশে লকডাউন মানা হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে হাট চলছে। রাজাবাজার, নারকেলডাঙা, গার্ডেনরিচ, একবালপুরে লকডাউন বোঝা যাচ্ছে না।
দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) অভিযোগ, রাজ্য করোনা (Corona) সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য গোপন করছে। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের তথ্যের অমিল রয়েছে। করোনার মৃত্যুকে ডায়াবেটিক কিংবা নিউমোনিয়ায় মৃত্যু বলে দেখানো হচ্ছে। এইসবই রাজ্যপালকে জানানো হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। রাজ্যপালের সেন্ট্রাল মনিটারিং কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দেয় বিজেপি প্রতিনিধিদল। ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।