বিরোধীদের লাগাতার তোপ। দেশজুড়ে চাপা উষ্মা। কোনও কিছুতেই হচ্ছে না কাজ। পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এখনও নির্বিকার সরকার। এদিকে নিয়ম করে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত। শনিবারও পেট্রল (Petrol) এবং ডিজেলের (Diesel) দাম যথাক্রমে লিটারপ্রতি ২৫ এবং ২১ পয়সা করে বেড়েছে। এই নিয়ে লাগাতার ২১ দিন ধরে বাড়ছে পেট্রোপণ্যের দাম।
শনিবার দিল্লিতে পেট্রলের দাম বেড়ে হয়েছে লিটারপ্রতি ৮০ টাকা ৩৮ পয়সা। যা এখনও পর্যন্ত সর্বকালের রেকর্ড। রাজধানীতে ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে লিটারপ্রতি ৮০ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ দিল্লিতে ঐতিহাসিকভাবে এখনও পেট্রলের থেকে বেশি দামে বিকোচ্ছে ডিজেল। জ্বালানির মুল্যবৃদ্ধির এই প্রভাব ইতিমধ্যেই সরাসরি খোলা বাজারে পড়তে শুরু করেছে। দিল্লির সবজি বাজারগুলিতে জিনিসের দাম অগ্নিমুল্য। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজির দাম বাড়ার ফলে বেচাকেনাও আগের তুলনায় অনেকটা কম।
এত গেল রাজধানীর কথা। বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে ছবিটা আরও খারাপ। টানা ২১ দিনের মূল্যবৃদ্ধির জেরে মুম্বইয়ে পেট্রলের দাম বেড়ে হয়েছে লিটারপ্রতি ৮৭ টাকা ১৪ পয়সা। ডিজেল (Diesel) বিকোচ্ছে লিটারপ্রতি ৭৮টাকা ৫১ পয়সায়। খাস কলকাতায় ৮২ টাকা পেরিয়ে গিয়েছে পেট্রলের দাম। শহরে পেট্রল বিকোচ্ছে ৮২ টাকা ৫ পয়সা লিটার। ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি বেড়ে হয়েছে ৭৫ টাকা ৫২ পয়সা। আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকা সত্বেও দেশে পেট্রল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণ, কেন্দ্রের চাপানো অতিরিক্ত অন্তঃশুল্ক। আসলে লকডাউনে যে বিপুল করের ঘাটতি হয়েছে, তা পেট্রল-ডিজেলের মাধ্যমে পুষিয়ে নিতে চায় সরকার। বিরোধীরা যার তীব্র প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু তাতেও লাভের লাভ কিছু হচ্ছে না। সরকার এখনও একপ্রকার নির্বিকার।