আজাদী চেয়ে দেওয়া স্লোগান নিয়ে সারাদেশেই বিতর্ক চলছে । কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়া সত্ত্বেও মুম্বই থেকে শুরু করে আমু বিভিন্ন জায়গায় কাশ্মীরের আজাদী চেয়ে শুধু স্লোগান নয় দেখা গিয়েছে প্ল্যাকার্ডও। অভিযোগের তীর বামপন্থী ছাত্রদের দিকেই। সিএএ নিয়ে বিক্ষোভে কেন আজাদীর এমনকী জিন্নাহওয়ালি আজাদীর স্লোগান উঠবে এই নিয়ে প্রশ্ন সমস্ত দেশবাসীরও ।
বিক্ষোভকারীদের আজাদীর স্লোগান দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বুধবার বলেন যে দেশ ইতিমধ্যে স্বাধীন। সংবিধানের ১৯ (১) অনুচ্ছেদে দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলা আছে। কিন্তু এই অনুচ্ছেদ এ জাতীয় আজাদীর উপর যথাযথ বিধিনিষেধের কথাও মনে করিয়ে দেয়। প্রসাদ টুইট করে বলেন , ‘আজকাল আমরা কয়েকটি জায়গায়’ আজাদী-আজাদী ‘স্লোগান শুনছি। কী থেকে আজাদী ? মানুষ প্রকাশ্যে সরকারের সমালোচনা করতে পারে। জনগণ গণতান্ত্রিক উপায়েই কাউকে বেছে নিতে বা কাউকে প্রত্যাখ্যানও করতে পারে ।
আজাদী চাওয়া ব্যক্তিদের কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘেরাও করে এমনকী পুলিশের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাহলে কোন বিষয় থেকে আজাদী ? প্রশ্ন দেশের আইনমন্ত্রীর । টাইমস নাউ সামিটকে সম্বোধন করে তিনি আরও বলেন, “আপনার আজাদী হ’ল আপনি নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘেরাও করে রেখেছেন এবং পুলিশের সঙ্গে লড়াইও করেছেন।” তাহলে আপনি কার থেকে আজাদী চাইছেন। এই প্রশ্নে আরও বিতর্ক হওয়া উচিত ।