ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়েছিল ভাইরাসের যে প্রজাতি তাকে ডেল্টা নামে অভিহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই ভাইরাস প্রজাতি ৮০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গোটা বিশ্বেই নতুন ত্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কোভিডের ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট।
মাস দুয়েকের ঝড়ের পর ভারতে কোভিড কিছুটা শান্ত হয়েছে। আগের চেয়ে কমেছে দৈনিক আক্রান্ত আর মৃত্যুর সংখ্যা। তবে ডেল্টা প্রজাতির হাত থেকে এখনই নিস্তার নেই, জানিয়ে দিচ্ছেন দিল্লি এইমস হাসপাতালের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া।
তিনি সতর্ক করেছেন, আগামী দিনে আরও ভয়াবহ রূপ নিতে চলেছে ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট। বিশেষজ্ঞদের তা নিঃসন্দেহে চিন্তায় রাখবে। অবিলম্বে এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গুলেরিয়া।
ভারতে প্রথম খুঁজে পাওয়া কোভিডের এই ডেল্টা প্রজাতি প্রভাব বিস্তার করেছে ব্রিটেনে। বহু মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। সেই দেশ থেকেই শিক্ষা নিতে হবে, জানিয়েছেন এইমস প্রধান। যদি কোভিডের উপযুক্ত সতর্কতা কড়া ভাবে অবলম্বন না করা হয়, ভারতের পরিস্থিতি আগামী দিনে আরও করুণ হতে চলেছে বলেও মনে করেন তিনি।
রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, “ডেল্টা প্লাস হল ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্টের মতোই ভাইরাসের আরও এক প্রজাতি। আরও এক মিউটেশনের জন্য এতে কিছু বদল আসছে। ভাইরাসের সংক্রমণ তাতে আরও বাড়বে।”
তিনি আরও বলেছেন, “আমাদের এখন যেটা করা দরকার তা হল পর্যবেক্ষণ। এই ডেল্টা প্লাস কি আবারও ভারতকে কাঁদাবে? আগামী কয়েক সপ্তাহ সেই উত্তর দেবে।”
দেশে সংক্রমণ কমেছে বলে কোনও ভাবেই ভাইরাসকে হেলাফেলা করা যাবে না, জানিয়েছেন গুলেরিয়া। এই ভাইরাস নিজের রূপ বদলেই চলেছে। গুলেরিয়ার কথায়, “ব্রিটেন খুব ভাল কাজ করেছে। বেশ কয়েক মাসের জন্য কড়া লকডাউন ঘোষণা করেছে তারা। আমরাও সেটাই করতে পারি।”
এখনই সতর্ক না হলে ৩-৪ মাস পর আবার ফিরবে আগের মতো বিপর্যয়, জানিয়ে দিয়েছেন এইমস প্রধান।