কাশ্মীর থেকে কারফিউ না ওঠানো পর্যন্ত কোন কথাই বলবেন না ইমরান খান!

জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর থেকেই পাকিস্তান এই ইস্যু বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলতে চাইছে। কিন্তু যতবারই তাঁরা এই ইস্যু আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলেছে, ততবারই তাঁরা সপাটে চড় খেয়েছে। এমনকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে একের পর এক মিথ্যে কথা বলে গেছেন। উনি বলেছেন, কাশ্মীর মানুষের উপর অকথ্য অত্যাচার করা হচ্ছে। কাশ্মীর উপত্যকাকে জেলে পরিণত করা হয়েছে। এরপর ইমরান খান এও বলেন যে, কাশ্মীরে কারফিউ জারি করা হয়েছে, এর ফলে সাধারণ কাশ্মীরি নাগরিকদের বহু সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। রয়াটার্স এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এবার উনি বলেছেন যে, যতদিন না ভারত কাশ্মীর থেকে কারফিউ তুলে নিচ্ছে, ততদিন তিনি আর ভারতের সাথে কোন কথা বলেবেন না।

তবে পাকিস্তানে বসে থাকা ইমরান খান হয়ত এটা জানেন না যে, কাশ্মীর এখনো কোন এলাকায় কারফিউ জারি নেই। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর কিছু এলাকায় কয়েকদিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। আর সেই নিষেধাজ্ঞাও কয়েকদিনের মাথায় তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো কিছু এলাকায় সামান্য কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। আর সেগুলোকেও খুব শীঘ্রই তুলে দেওয়া হবে। এখন কেবল আটটি এলাকায় নিষেধাজ্ঞা মানে ১৪৪ ধারা লাগু আছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, কাশ্মীরে এখন নিষেধাজ্ঞা জারি আছে বলা ভুল হবে, কারণ সেখানকার ১৯৬ টি থানা এলাকায় মাত্র আটটিতে নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। এখন জম্মু কাশ্মীরের কোন এলাকায় কারফিউ জারি নেই।

ইন্টারনেট আর মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখার প্রশ্নে অমিত শাহ বলেন, দেশ জুড়ে ইন্টারনেট আসার ১৬ বছর পর কাশ্মীরে ইন্টারনেট পৌঁছেছিল। গোটা দেশে মোবাইল আসার ১৭ বছর পর কাশ্মীরের মানুষদের হাতে মোবাইল এসেছিল। সেখানে সুরক্ষার কারণে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন ইন্টারনেট থেকেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেট বন্ধ আর এলাকায় কারফিউ জারি থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। উনি বলেন, ন্যাশানাল কনফারেন্সে এর বরিষ্ঠ নেতা ফারুক আবদুল্লাহকেও জম্মু কাশ্মীরের আইন জনসুরক্ষা অনুযায়ী, দুই বছর জেলে রাখার কোন ইচ্ছে নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.