ইছামতীতে বিসর্জনের রূপরেখা সাজাতে BGB-এর সঙ্গে বৈঠকে BSF

করোনা আবহের মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পুলিশ ও প্রশাসকদের মধ্যে গোলাপ ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় মিষ্টি মুখের মধ্য দিয়ে তৈরি হল ইছামতি নদীতে বিসর্জনের রূপরেখা।

বসিরহাট মহাকুমার বসিরহাট টাকি পুরসভার ইছামতি নদীতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়। কেউ সীমান্ত জিরো পয়েন্টে লংঘন করবে না, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় এদিন।

শুক্রবার দুপুর বেলায় টাকি ইচ্ছামতী নদী জিরো পয়েন্টে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর টু আইসি মোহাম্মদ সাহেব আলী, সাতক্ষীরা দেবহাটা থানার পুলিশ আধিকারিক এম ডি শফিউল ইসলাম। জানা গিয়েছে, ভারতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৫৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের ইনচার্জ নিরাজ কুমার দাস, বসিরহাট পুলিশ জেলার ডিএসপি ট্রাফিক মহসিন আখতার, বিডিও অরিন্দম মুখার্জী সহ টাকি পৌরসভার প্রশাসকরা।

সব মিলিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বিশ্ব মহামারী করোনা আবহের মধ্যে ইছামতি নদীতে ভাসান হবে। অল্প কিছু সংখ্যা প্রতিমার নৌকা নামবে, কিন্তু কোন দর্শনার্থীদের নৌকা নদীতে নামবে না।

পাশাপাশি ৫ থেকে ১০ জনের বেশি নৌকায় উঠতে পারবে না। এছাড়াও নদীর পাড়ে মানুষ সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে ইছামতি নদীর ভাসান দেখতে পারবে। জমায়েত করা যাবে না ।

সেটা একেবারে হাইকোর্ট নির্দেশ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে। এই প্রতিমা বিসর্জন হবে ইছামতির বক্ষে। জানালেন পুলিশ সুপার কংকর প্রসাদ বাডূই। চারদিন ধরে ইছামতি নদীতে বিসর্জন হবে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার টাকি পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইছামতি নদীর ভাসান বিশ্ব মহামারীর করোনা কারণে এবার বন্ধ রাখা হবে ।

এরপরে টাকি ও হাসনাবাদের বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে জমিদার বাড়ি পুজোর কর্মকর্তারা টাকি পৌরসভার কাছে আবেদন জানিয়েছিল। তারা সম্পূর্ণ করোনার বিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জন করবেন ইছামতি নদীতে।

বেশকিছু পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছিল টাকি পৌরসভার প্রশাসকদের কাছে একদিকে যেমন তাদের ভাবনা আবেগকে সম্মতি দেওয়া দিয়ে টাকি পৌরসভা আজ এই বিষয়টা ইছামতি নদীতে প্রশাসনিক বৈঠকে তোলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ গার্ড বর্ডারের বৈঠকে চূড়ান্ত বৈঠকের মধ্যে তাদের এই প্রস্তাব দেন পাশাপাশি পুলিশ আধিকারিকরা এ বিষয়ে আগেই নজর রাখছিলেন।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় ইছামতি নদীতে বিসর্জন হবে কিন্তু সেটা খুব অল্পসংখ্যক নৌকা এবং চার দিন ধরে এই বিসর্জন চলবে জানালেন বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কংকর প্রসাদ বাড়ূই।

এদিন দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে গোলাপ ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় মিষ্টিমুখ হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.