গত মঙ্গলবার রাজনৈতিক হিংসার চরম নিদর্শন দেখেছিল গোটা দেশবাসী। একটি গণতান্ত্রিক মিছিলে হামলা করে কিভাবে দাঙ্গা লাগিয়েছিল তৃণমূল (TMC) সেটা সবাই জানে। এমনকি বিদ্যাসাগরের (Vidyasagar) মূর্তিও ভাঙা হয়েছিল সেদিন। চুরমার করে দেওয়া হয়েছিল বাঙালির অভিমান। এই ঘটনার জন্য তৃণমূল কাঠগড়ায় তুলেছিল বিজেপিকে (BJP) । কিন্তু বিজেপি থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এই মূর্তি তাঁরা ভাঙেনি। এমনকি বিজেপি থেকে মূর্তি ভাঙার বিষয় নিয়ে তদন্ত করার দাবি তোলা হয়েছিল। আর বিদ্যাসাগরের মূর্তি যেই ঘরে ছিল সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে দোষীদের কড়া শাস্তির জন্য গতকাল বিক্ষোভ মিছিল করেছিল বিজেপির নেতা নেত্রীরা। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) কোন প্রমাণ ছাড়াই বারবার বিজেপির উপরে দোষ দিয়ে এসেছেন। এমনকি উনি এখনো পর্যন্ত একবারও দাবি করেন নি যে এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিৎ। উনি একবারও সিসিটিভি ফুটেজ চাননি। সব দোষ বিজেপির ঘাড়ে চাপিয়ে নিজেদের চাপ মুক্ত করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই ঘটনার পর আজ নরেন্দ্র মোদী কলেজ স্কোয়ারে বিদ্যাসাগরের পঞ্চধাতু দিয়ে তৈরি একটি বিশাল মূর্তি স্থাপনা করার কথা ঘোষণা করেন। নরেন্দ্র মোদীর এই ঘোষণা পর আবারও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে তুই তোকারি করে বলেন, ‘তোদের টাকা আমাদের লাগবেনা। আমাদের রাজ্যের অনেক টাকা আছে।”
এবার এই মূর্তি কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা এবং আইনজীবী অরুনাভ ঘোষ (ARUNAVA GHOSH)। তিনি বলেন, ‘আমি চরম বিজেপি বিরোধী। কিন্তু এই মূর্তি বিজেপি ভাঙেনি। একটা উকিলের চোখে ধরা পড়েছে যে, এই মূর্তি তৃণমূলের ছাত্রদলের ছেলেরা ভেঙেছে।” উনি বলেন, ‘সরকার তো ৩রা মে থেকে ছুটি ঘোষণা করেছিল। কিন্তু বিদ্যাসাগর কলেজের সন্ধ্যা বিভাগের ছেলেরা এত ভালো যে, কলেজ ছুটি থাকা স্বত্বেও তাঁরা কলেজে দিয়ে বসেছিল!”
তাছাড়াও তিনি বলেন, ‘যেকোন পার্টি অফিস ভাঙার সময় দলের ছেলেরা সিমপ্যাথি পাওয়ার জন্য ভাঙার ছবি গুলো আগে শেয়ার করে।” অরুনাভ ঘোষের এই মন্তব্যের পর চরম ব্যাকফুটে তৃণমূল। একদিকে যখন বাঙালি আবেগ উস্কে দিয়ে ভোট লুঠে নিতে চাইছে তাঁরা। তখন আরেকদিকে এবার সরাসরি ইশ্বরচন্দ্রের মূর্তি ভাঙার দোষ তাঁদের উপরেই চাপিয়ে দিলেন কংগ্রেসের নেতা।