করোনা থেকে সেরে উঠেছেন? অভিনন্দন। কিন্তু জানেন কি আপনার জন্যও রয়েছে হাজারো বিধি নিষেধ। একজন সুস্থ মানুষ করোনা থেকে বাঁচতে যে যে সাবধানতা অবলম্বন করে, ঠিক ততটাই বা তার থেকেও বেশি সাবধান হতে হয় একজন করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগিকে।
সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে একজন করোনা রোগীর ওপর এই ভাইরাস নানা ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শমত ওষুধ খেয়ে চলার পাশাপাশি ব্যক্তিগত সাবধানতা রক্ষা করাও জরুরি। কারণ শুধু ফুসফুস নয়, মস্তিষ্ক, লিভার, হার্টে প্রচুর রোগ তৈরি করতে পারে করোনা। সাথে বেশ ছাপ ফেলে রোগির মনেও।
তাই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে রোগিকে। মেনে চলতে হবে একাধিক নিয়ম। অনেক রোগিরই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে ক্লান্তি, খিদে বোধ না থাকা, দুর্বলতার মতো সমস্যা দেখা দেয়। সেই গুলির দিকে নজর দিতে হবে। প্রয়োজনে আলাদা ভাবে এগুলির চিকিৎসা করতে হবে।
ছাড়া পাওয়ার পরে শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা সঠিক পরিমাণে এসেছে কিনা, তা বারবার দেখা প্রয়োজন। দেখা প্রয়োজন শরীরের তাপমাত্রা ও হার্ট রেট।
সুস্থ হওয়ার এক সপ্তাহ পরে যদি নতুন কোনও উপসর্গ দেখা দেয়, যা আগে রোগির ছিল না, তা নিয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যে সব রোগি আগে থেকেই হাইপার টেনশন বা ডায়াবেটিসের রোগি, তাদের জন্য নির্দিষ্ট খাবারের চার্ট করা দেওয়া দরকার। তাছাড়া বাকি রোগিরা পুষ্টিকর সব খাদ্যই খেতে পারেন।
গবেষকরা জানাচ্ছেন দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। এরপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কেন কিছু রোগী লম্বা সময়ের জন্য এই ধরনের লক্ষণে ভোগেন? আদৌ কি সেটা সম্ভব? এবং কোনও প্রতিরোধ ক্ষমতা কি আবারও এই রোগকে ফিরে আসা থেকে ঠেকাতে পারে?
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে সংক্রামিত ব্যক্তি ভাইরাসটির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রতিরক্ষামূলক অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে, কিন্তু কয়েকমাস পর থেকেই তা হ্রাস পেতে পারে, সম্ভবত সেই কারণেই কোনও ব্যক্তি দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। তবে এখন পর্যন্ত এমন সংখ্যা খুবই কম দেখা গেছে, যেখানে একবার আক্রান্ত হওয়া রোগী পুনরায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু সেই আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।