কৃষি বিল বিরোধীদের জবাব মোদীর : রবিশস্যের সহায়ক মূল্য বাড়িয়ে কৃষকদের বার্তা

রবিশস্যের সহায়ক মূল্য বাড়িয়ে কুইন্টাল পিছু ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করে দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার (Narendra Modi Govt.)। সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থ বিষয়ক কমিটির বৈঠকে রবিশস্যের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। গমের জন্য সহায়ক মূল্য বাড়ানো হয়েছে কুইন্টাল প্রতি ৫০ টাকা। অর্থাৎ চাষীরা গমের জন্য কুইন্টাল প্রতি ১৯৭৫ টাকা সহায়ক মূল্য হিসাবে পাবেন। সরষের সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ২২৫ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪৬৫০ টাকা। আর সবথেকে দাম বেড়েছে মুসুরির ডালের। কুইন্টাল প্রতি সহায়ক মূল্য ৩০০ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫১০০ টাকা।

পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের গোড়ায় ধারণা ছিল নয়া কৃষি আইনের কারণে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যই উঠে যাবে। সেই ধারনা যে ভ্রান্ত তা আগেই জানাচ্ছিলেন সরকার ও কেন্দ্রে শাসক দলের শীর্ষ নেতারা। সংসদে কৃষি বিল পাশ হওয়ার পর রবিশস্যের দাম কুইন্টাল পিছু বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার বিরোধীদের প্রবল বিক্ষোভের মধ্যেই ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে যায় কৃষিসংক্রান্ত জোড়া বিল। রাজ্যসভায় এই বিল দুটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। রাজ্যসভায় বিল পেশের পরেই সম্মিলিতভাবে বিরোধিতা করে প্রায় সব বিরোধী দলই। কংগ্রেস, তৃণমূল, বামফ্রন্ট, ডিএমকে, আরজেডি, অকালি দল প্রমুখ একসঙ্গে কেন্দ্রের এই বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে। এমনকি বিজেডি ও টিআরএসের মতো দলও এই বিলের বিরোধিতা করে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গে পরস্পর বিরোধী তৃণমূল-সিপিএম একযোগে এই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছে।

এমন বিরোধিতার মুখে পড়েও সংসদে এতটুকু বিব্রত হয়নি নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বিলগুলি নিয়ে ভোটাভুটি শুরু হয়। সেই সময়ও বিরোধীরা স্লোগান দেয়। তাতে অবশ্য বিল পাশ আটকায়নি। দুটি বিলই পাশ করিয়ে নেয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। এদিন রাত পর্যন্ত সংসদের বাইরে কৃষি বিলের বিরোধিতায় প্রতিবাদ করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। ঠিক সেই সময় রবিশস্যের সহায়ক মূল্যের দাম বাড়িয়ে কৃষক সমাজের প্রতি বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কারণ বিরোধীদের অভিযোগ ছিল এই দুই বিল পাসের ফলে সহায়ক মূল্য উঠে যাবে। সহায়ক মূল্য জুটবে না এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তাই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে দেশের কৃষিজীবী মানুষকে, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.