সংক্রমণ শঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের ঐতিহাসিক পুজো-রায় আজ পুনর্বিবেচনা করা হবে। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে পুজো-রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। ফোরাম ফর দুর্গোত্সব কমিটির সেই আবেদনের শুনানি হবে আজই।
প্রতিটি পুজো মণ্ডপ নো-এন্ট্রি জোন। মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন না দর্শনার্থীরা। পুজোয় দর্শকশূন্য থাকবে মন্ডপ। প্রতিটি পুজো মণ্ডপকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেব গণ্য করা হবে। পুজো বন্ধের শুনানিতে সোমবার এই রায়ই দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
বড় মন্ডপের ক্ষেত্রে দূরত্ব হবে ১০ মিটার। আর ছোট মন্ডপের ক্ষেত্রে দূরত্ব ৫ মিটার। এই এলাকায় কোনও দর্শনার্থী ঢুকতে পারবেন না। মন্ডপের বাইরে লাগাতে হবে নো-এন্ট্রি বোর্ড। মণ্ডপে কেবলমাত্র পুজো উদ্যোক্তাদের কয়েকজন ঢুকতে পারবেন বলে রায় দিয়েছে আদালত।
ছোট-বড় সব প্যান্ডেলে নো-এন্ট্রি বাফার জোন করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কেবলমাত্র পুজোকমিটিগুলির ২০-২৫ সদস্য মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন বলে জানায় হাইকোর্ট। তাঁদের নামের তালিকাও আগে থেকে মণ্ডপে ঝুলিয়ে দিতে হবে। সোমবার এই রায়ের জেরে ঘোর বিপাকে পড়েন পুজো উদ্যোক্তারা একেবারে শেষ মুহূর্তে এই রায়ের কারণে নানা সমস্যার কথাও তুলে ধরেন উদ্যোক্তারা।
শেষমেশ এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ফোরাম ফর দুর্গোত্সব কমিটি। হাইকোর্টের পুজো নিয়ে রায়ে অধিকাংশ পুজো কমিটি আশাহত।
বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে তাই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছে। আজ সেই মামলার শুনানি। ফোরাম ফর দুর্গাত্সবের পক্ষে মামলা লড়ছেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।