প্রবল বিতর্কের মুখে পড়ে অবশেষে দুর্গাপুজোর উৎসব পালনে সায় দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তবে কড়াকড়ি থাকবে করোনা বিধি পালনের ক্ষেত্রে বলে যোগী প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে। এর আগে করোনা আবহে পুজোয় সায় দেননি আদিত্যনাথ। প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়।
কোনও পুজো প্যান্ডেল তৈরির করার ছাড়পত্র মিলছিল না উত্তরপ্রদেশে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরে অবশ্য জানানো হয়েছে মানুষ এই উৎসবে অংশ নিতে পারবেন, তবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কড়া নজরদারিতে পুজো হবে। মাস্ক, স্যানিটাইজার, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা অবশ্য পালনীয় কর্তব্য হবে।
যোগী প্রশাসনের এই নির্দেশে স্পষ্টতই খুশি উত্তরপ্রদেশের দুর্গাপুজোর আয়োজকরা। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এর আগে, করোনা আবহে এবার উত্তরপ্রদেশের কোথাও দুর্গাপুজোর মণ্ডপ তৈরি করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তবে এবার করোনাবিধি মেনে রামলীলার আয়োজন করা যাবে বলে জানান যোগী। ফলে যোগী আদিত্যনাথের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়।
আদিত্যনাথ জানান, এবছর রাজ্যের কোথাও দুর্গাপুজোর জন্য জমায়েত করা যাবে না। পুজোর আয়োজন করতে হলে তা বাড়ির মধ্যেই করতে হবে। তবে উত্তরপ্রদেশের ঐতিহ্যের কথা মনে রেখে করোনা বিধি মেনে এবারও রামলীলার আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়।
স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অনেকেই বলেন, করোনাবিধি মেনে যদি রামলীলার আয়োজন করা যায়, তবে সেই একই বিধি মেনে কেন দুর্গাপুজোর আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছেন যোগী?
প্রবল বিতর্কের মুখে পড়ে অবশেষে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ।এদিকে, যোগী আদিত্যনাথের সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সেখানে দুর্গোৎসব করতে দেওয়ার দাবী জানিয়ে আদিত্যনাথকে চিঠি দেয় তারা।
বাংলাপক্ষ জানায়, উত্তরপ্রদেশ সরকারের দুর্গা পুজো এমনভাবে না করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যুক্তি-যুক্ত নয়। তাঁদের দাবী, বাঙালির আচার-অনুষ্ঠান রক্ষা করতে দুর্গাপুজো করতেই হবে। শুধুই ধার্মিক নয়, ঐতিহ্য, ভালোবাসা ও অনুভূতিতে মোড়া বাঙালির এই শ্রেষ্ঠ উৎসব থেকে উত্তর প্রদেশের বাঙালিদের বঞ্চিত করা কখনোই উচিত নয়, এমনটাই জানিয়ে বাংলাপক্ষ চিঠি পাঠায় রাম রাজ্যে।