সব কিছু ঠিকঠাক চললে সম্ভবত চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই পুর ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে নির্বাচন কমিশন। চলতি সপ্তাহেই ভোটের এবিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিতে পারে নির্বাচন কমিশন।
পুরভোটের ঢাকে কাঠি পড়েছে। আসন্ন পুরভোট সম্ভবত এপ্রিলেই। দোলের পরই ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে নির্বাচন কমিশন। চলতি সপ্তাহেই মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে চিঠি ভোটের নির্ঘণ্ট স্থির করতে চিঠি দেওয়া হতে পারে কমিশনের তরফে। রাজ্য সরকার কবে পুরসভার ভোট করাতে চায় তা চিঠিতে জানতে চাওয়া হবে কমিশনের তরফে। তারপরেই জারি হবে পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি।
আসন্ন পুরভোট ব্যালট পেপারেই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই পুরভোটের প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু করে দিয়েছে। বুধবারই রাজ্যের ১৮ জেলাশাসককে নিয়ে বৈঠকে বসার কথা কমিশনের। ভোটের প্রস্তুতি সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। আগেই ভোট প্রস্তুতি নিয়ে দুই ২৪ পরগনা ও হাওড়ার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন।
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল-সহ বিরোধী বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস জোটও পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। রবিবারই রাজ্যে এসে দলীয় কর্মীদের পুরভোটে অলআউট লড়াইয়ে নামতে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ। একইসঙ্গে ‘আর নয় অন্যায়’ শীর্ষক কর্মসূচিরও উদ্বোধন করেছেন তিনি।
এই স্লোগান নিয়েই আসন্ন পুরভোট ও আগামী বিধানসভা ভোটের জন্য লড়াইয়ে ঝাঁপাবে বঙ্গ বিজেপি। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এলাকায়-এলাকায় প্রচার শানাবেন বিজেপি কর্মীরা।
অন্যদিকে ভোট ময়দানে বিরোধী বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ শাসক তৃণমূল। অমিত শাহ বঙ্গ ঘুরে যাওয়ার পরের দিনই কলকাতায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আপাতমস্তক হাইটেক ওই বৈঠকে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘বাংলার গর্ব মমতা’ ক্যাম্পেনের সূচনা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক একাধিক প্রকল্পকে ঢাল করেই ভোট ময়দানে নামতে চায় তৃণমূল। নেতা-কর্মীদেরও সেই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই পাশাপাশি বিজেপি ঠেকাতে পাল্টা প্রচারেরও কৌশল নিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ তুলে জনমত গড়ে তুলতে কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।
ভোটযুদ্ধে পিছিয়ে নেই বাম-কংগ্রেসও। নিজেদের মধ্যে আসন সমঝোতার বিষয়টি দ্রুত পাকা করে ফেলতে চান সূর্য-সোমেনরা। ইতিমধ্যেই আলাদা করে বৈঠক শুরু করেছেন বাম ও কংগ্রেস নেতারা। কোন পুরসভায় কাকে কত আসন ছাড়া যাবে তা নিয়ে চলছে জোরদার আলোচনা। সিপিএমও শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে।