করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সাধারণ নির্বাচন ও উপ নির্বাচনের জন্য নতুন নির্দেশিকা শুক্রবার জারি করল নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়েছে প্রত্যেক ভোট দাতা হাতে গ্লাভস পরে ভোট দেবেন। আর করোনা আক্রান্তরা ব্যালট পেপারে ভোট দিতে পারবেন।
করোনায় ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। লকডাউনে থমকে গিয়েছিল মানুষের দৈনন্দিন জীবন। কিন্তু ভাইরাস মোকাবিলা করতে গিয়ে সব কিছু তো আজীবন আটকে থাকতে পারে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত না হলে উন্নয়ন থেকে প্রশাসনিক সব কাজ আটকে যাবে। তাই করোনা পরিস্থিতিতে ভোট করানোর জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে।
নতুন নির্দেশিকায় প্রত্যেক ভোটদাতাকে ভোট দেওয়ার সময় গ্লাবস পরার কথা বলা হয়েছে। সমস্ত ভোটদাতাকে গ্লাবস দেওয়া হবে তারপর সে রেজিস্টারে সই করবে, ইভিএমে বোতাম টিপবে। নয়া নির্দেশিকায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ব্যালট পেপার ব্যবহার করা যাবে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে,পোস্টাল ব্যালটের সুবিধার পরিধি এবার অনেকটাই বেড়েছে। যারা শারীরিকভাবে অক্ষম, যাদের বয়স ৮০ বছরের বেশি,যারা জরুরী পরিষেবা কাজে যুক্ত এবং যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তারা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।
প্রার্থী নিজের জামানতের টাকা অনলাইনে জমা দিতে পারবেন। নির্বাচন প্রক্রিয়ার সময় স্যানিটাইজার, গ্লাবস, ফেইস শিল্ড, মাস্ক,থার্মাল স্ক্যানার ব্যবহার করা হবে। কোন প্রার্থী যখন মনোনয়ন দাখিল করবেন তখন প্রার্থীর সঙ্গে শুধু মাত্র দুজন যেতে পারবেন। দুটির বেশি গাড়িও নিয়ে যাওয়া যাবে না। ভোট গণনার সময় ৭ জনের বেশি কেউ হলে থাকতে পারবেন না।
একটি বিধানসভার ক্ষেত্রে কাউন্টিং-এর জন্য তিন থেকে চারটি হল হতে পারে। স্কুটনির প্রক্রিয়া অনলাইনে হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সব রাজ্যের দেওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন। কমিশনের তরফ আরও জানানো হয়েছে নির্বাচনের আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের ক্ষেত্রে বড় কোনো রকম মিছিল করা যাবে না। প্রার্থী সঙ্গে চারজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে পারবেন। প্রার্থী থেকে শুরু করে ভোট কর্মী সকলকে মাস্ক, গ্লাভস, পরতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব মানার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। পাবলিক মিটিং কিংবা রোড শো করতে পারবেন প্রার্থীরা। তবে তার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে সকলকে।