ডেঙ্গু (Dengue) নাকি করোনা, উপসর্গ দেখে বোঝা মুশকিল। আর এটাই আগামিদিনে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে চলেছে। এমনকী, ডেঙ্গু করোনার (Covid-19) সংক্রমণকে আরও ত্বরান্বিত করতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায়, ডেঙ্গু আবহে করোনা ভয়াবহ আকার নিতে পারে।
দেশে করোনা (Covid Positive) আক্রান্তের সংখ্যা আট লক্ষ ছুঁইছুঁই। মাত্র চারদিনে এক লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশের প্রায় সমস্ত হাসপাতালে শয্যা দখল করেছেন করোনা রোগীরা। এবার ডেঙ্গু (Dengue) রোগীদের কোথায় রাখা হবে? চিকিৎসকদের হিসেব বলছে, প্রতি বছর দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন প্রায় দুলক্ষ মানুষ। সারাবছরই দক্ষিণ ভারত ও পূর্ব ভারতের বেশকিছু অঞ্চলে ডেঙ্গুর (Dengue) প্রাদুর্ভাব থাকে। কিন্তু বর্ষাকাল ও শীতের শুরুতে মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। প্রতি বছর এই রোগীদের সামাল দিতে চিকিৎসকরা নাজেহাল হয়ে যান। এবার তো আবার এক নয়, দুই রোগের চাপ। আদও দুই সংক্রমণের চাপ সামলাতে তৈরি তো দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা. উঠছে প্রশ্ন।।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুটি রোগেরই প্রাথমিক উপসর্গ এক। টানা তিনদিন জ্বর-মাথাব্যথা-গা, হাত,পায়ে ব্যথা। ফলে কে ডেঙ্গু আক্রান্ত আর কে করোনা, তা বুঝে ওঠাই এখন প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ। দুটি নির্ণয়ের জন্য আলাদা-আলাদা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। আর এর আড়ালেই করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে কলকাতার ভাইরাস বিশেষজ্ঞ তথা অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় জানান, “ডেঙ্গু কোভিড পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে দিতে পারে। এমনকী, ডেঙ্গুর প্রভাবে করোনা সংক্রমণ আরও তীব্র হতে পারে। দুটির রোগের উপসর্গ প্রায় একই। যে কোনও একটির প্রভাবে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে, অপর সংক্রমণটি প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়াতে পারে।” চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে হাসপাতালগুলির পরিকাঠামোও। প্রতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত বহু রোগী হাসপাতালগুলিতে ভিড় জমায়। বর্তমানে করোনা আক্রান্তের ভিড়। ফলে হাসপাতালগুলি কি দুটি সংক্রমণের চাপ সামাল দিতে পারবে, উঠছে প্রশ্ন।