শীতের আগেই করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কমতে শুরু করেছে ভারতে। আমেরিকা কিংবা ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলিতে যখন করোনার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সংক্রমনের ধাক্কা প্রবল সেই সময়ে আশা জাগাচ্ছে ভারতে সংক্রমণ কমের এই গ্রাফ। ভারতে এক সময় যে সংক্রমণের হার ৯০ হাজারের গন্ডি পেরিয়েছিল এখন সেই সংক্রমণের হার এক ধাক্কায় ৬০-৭০ হাজারে নেমেছে। এই মুহূর্তে দৈনিক সংক্রমণ ৪০ হাজারেরও কম। গতকালের থেকে আজ আরও একধাপ কমেছে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে একটি বুলেটিনে জানানো হয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৮ হাজার ৩১০ জন। সংক্রমণের হার যে কমছে তার সব থেকে বড় উদাহরণ হল কোভিড অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা কমে যাওয়া। সে এই মুহূর্তে কভিড অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে মোট ৬.৫৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১০লাখের নিচে নেমে যাওয়া একটি ভালো ইঙ্গিত। এই সংখ্যা কমতে থাকলে একজনের থেকে বহুজনের সংক্রমণও বন্ধ হবে।
কেন্দ্রীয় হিসেব বলছে গত দু’মাসে সবথেকে কম দৈনিক সংক্রমণ ধরা পড়েছে মুম্বাইতে। এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রে সুস্থতার হারও অনেক বেশি, যা আশা জাগিয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মনে। গবেষকরা বলছেন মুম্বাইতে যেভাবে সংক্রমণ বেশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে এবং সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের দেহে ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, তাতে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে ওঠার সম্ভাবনা আরও জোরালো হচ্ছে। মুম্বইয়ের বস্তি এলাকা গুলিতে অন্তত ৮০ শত মানুষের দেহে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির খোঁজ মিলেছে। অর্থাৎ একটি বড় অংশের মানুষ ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছিলেন কিন্তু সেরে উঠেছেন। বস্তি এলাকা ছাড়াও ৫৫ শতাংশ মানুষের দেহের রক্তে মিলেছে করোনার অ্যান্টিবডি। যা করোনা প্রতিরোধে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই মুহূর্তে করোনার কারণে দেশে মৃত্যুর হারও বেশ খানিকটা কমেছে। কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী গত ২৪ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে মোট ৪৯০ জনের। এর পাশাপাশি সুস্থতার হারও বেশ খানিকটা বেড়েছে। প্রতিদিন প্রায় ১৫ লাখ কোভিড টেস্টের পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।