সামনেই বাঙালির বড় উৎসব। তারপর একে একে আসবে দিওয়ালি, কালীপুজো। সব মিলিয়ে মাস ভর চলবে একের পর এক উৎসব। সব মিলিয়ে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত উৎসবের মরশুমে কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন মানুষ, তার নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
মঙ্গলবার এই নির্দেশিকা জারি করা হয়। স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা এসওপি জারি করা হয়। আসন্ন দুর্গোৎসবে কী স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে বা কীভাবে করোনা বিদি মেনে চলা দরকার, তার নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে এদিন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানাচ্ছে উৎসবের মরশুমে জমায়েত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা।
কারণ এই সময়ে বিভিন্ন প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা, শোভাযাত্রা হতে পারে, যা থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়াও জমায়েত হতে পারে বিভিন্ন ধর্মস্থানে। তাই সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে বিশেষ কিছু নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।
জানানো হয়েছে সংক্রমণ ঠেকাতে কনটেনমেন্ট জোনের মধ্যে কোনও পুজো করা যাবে না। এছাড়াও মেলা, শোভাযাত্রা, অনুষ্ঠান করা যাবে কনটেনমেন্ট জোনে। এই জোনের বাসিন্দারা পুজোতে বেরোতে পারবেন না। বাড়িতে বসেই পুজো দেখতে হবে তাঁদের।
কেন্দ্র জানিয়েছে ৬৫ বছরের ওপরে যাঁরা রয়েছেন, জটিল রোগগ্রস্থ কোনও ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা ও ১০ বছর বয়েসের নীচের শিশুরা বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। পুজো উদ্যোক্তাদের এই বিষয়টি নজরে রাখতে বলা হয়েছে। কোনও ভাবেই যেন তাঁদের জমায়েতের মধ্যে থাকতে দেওয়া না হয়।
এই ধরণের উৎসব পালনের ক্ষেত্রে করোনা বিধি মেনে চলতে হবে। যেমন থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা রাখা, স্যানিটাইজেশন, সামাজিক দূরত্ব মানা, ফেস মাস্ক ব্যবহার করা। এই সব ব্যবস্থা থাকলে তবেই জমায়েতের অনুমতি মিলবে।
আগে থেকে সেই প্ল্যানিং করে রাখতে হবে। পুজো প্যান্ডালে কতজন জমায়েত করবেন সেই সংখ্যাটা বেঁধে দিতে হবে। প্যান্ডেলে ঢোকা ও বেরোনোর ক্ষেত্রে সময় নির্দিষ্ট করে দিতে হবে।
১. জনবহুল এলাকায় প্রত্যেকের মধ্যে ৬ফুট দূরত্ব রাখতে হবে।
২. ফেস কভার বা মাস্ক পরতে হবে
৩. বারবার হাত ধোওয়ার অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। অ্যালকোহল বেসড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। অন্তত কুড়ি সেকেন্ড ধরে হাত পরিষ্কার করা দরকার।
৪. নাক ও মুখ ডেকে তবেই ফেস মাস্ক পরতে হবে। ৫. প্রকাশ্যে থুথু ফেলা শাস্তিযোগ্য অপরাধ