ভোট প্রচারেই দেখা গিয়েছে কংগ্রেস যেন লড়াইয়েই নেই। তুমুল বৃষ্টিতে সপসপে ভিজে বর্ষীয়ান শরদ পওয়ারকে একটি জনসভায় বক্তৃতা দিতে দেখা গেলেও রাহুল গান্ধী বা সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তাঁর যৌথ সভা একটাও হয়নি। অথচ নাকি তাঁরা জোট করেছেন।
বিরোধী শিবিরের ছবিটা যখন এমনই ছন্নছাড়া ছিল, তখন সোমবার মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণের পর দেখা গেল তামাম বুথ ফেরত সমীক্ষা প্রত্যাশিত ভাবেই বিজেপির বিপুল জয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মহারাষ্ট্র বিধানসভায় মোট ২৮৮ টি আসন রয়েছে। টাইমস নাও-এর বুথ ফেরত সমীক্ষার মতে মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা জোট পেতে পারে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি আসন। তারা ২৩০ টি আসনে জিততে পারে। বিপরীতে কংগ্রেস ও এনসিপির জোট পেতে পারে মাত্র ৪৮ টি আসন।
যদিও ইন্ডিয়া টুডে অ্যাক্সিস–এর ফেরত সমীক্ষা অন্যদের তুলনায় কংগ্রেস-এনসিপি জোটকে কিছুটা বেশি আসনই দিয়েছে। তাদের মতে বিজেপি ও শিবসেনা ১৬৪-১৯৪ টি আসনে জিততে পারে। তুলনায় কংগ্রেস-এনসিপি জোট জিততে পারে ৭২ থেকে ৯০টি আসন। এ ক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল যে লোকসভা ভোটে অ্যাক্সিস-ইন্ডিয়া টুডের সমীক্ষা প্রকৃত ফলাফলের সঙ্গে কার্যত মিলে গিয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, গত কয়েকটি নির্বাচনে অ্যাক্সিস তাদের পূর্বানুমানের ক্ষেত্রে সাফল্যের ধারাবাহিকতাও বজায় রাখছে।
রিপাবলিক টিভিও বুথ ফেরত সমীক্ষা করেছে। তাদের হিসাবে দেবেন্দ্র ফড়নবীশের নেতৃত্বে গেরুয়া শিবির জিততে পারে ২২৩টি আসন। অন্যদিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বে জোট পেতে পারে ৫৪ টি আসন।
এ ছাড়াও এবিপি নিউজও বুথ ফেরত সমীক্ষা করেছে। তাদের হিসাবে বিজেপি-শিবসেনা জোট পেতে পারে ২০৪টি আসন। তুলনায় কংগ্রেস-এনসিপি-র জোট পেতে পারে ৬৯ টি আসন। আবার সিএনএন নিউজ ১৮ জানিয়েছে, বিজেপি জোট ২৪৩ টি আসনে জিততে পারে।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, চোদ্দ সালে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটে ৬৩ শতাংশ ভোট পড়েছিল। সেই তুলনায় সোমবার অনেক কম ভোট পড়েছে। বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ৫২ শতাংশ। যা দেখে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এর থেকে বোঝা যাচ্ছে হয়তো রাজ্যে বদল আনার ব্যাপারে বিশেষ আগ্রহ নেই ভোটারদের। অথবা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা থাকলেও কংগ্রেস-এনসিপি যে রকম ছন্নছাড়া তাতে তাদের উপর ভরসা হারিয়েছেন অনেকেই।