দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মহিলাদের উপর অত্যাচার হয় এই রাজ্যে। আপনি কি চান যে আবার পাকস্ট্রিট কান্ড ঘটুক? হাঁসখালিতে কুপ্রস্তাবে মত না দেওয়ায় জেহাদীরা তপশিলি নাবালিকাকে অ্যাসিড ছুড়ে হত্যা করেছিল। জলপাইগুড়িতে ১৬ বছরের নাবালিকা, চোপড়ার ১৫ বছরের মেয়ে আর জোড়াবাগানে ৯ বছরের শিশুকন্যাকে গন ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আপনি কি নিজের মেয়ের সুরক্ষা চান না! একটু ভাবুন!
রাম নামে আপত্তি:
‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি করে ইসলামিক বাংলাদেশের ‘জয় বাংলা’ ধোনির প্রচলন করার অপপ্রয়াস। রাম নবমীর শোভাযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা ও রাম মন্দিরের ভূমি পূজনের দিন রাজ্য জুড়ে লকডাউন।
বাঙালির প্রাণ পুরুষ রবীন্দ্রনাথ বলেছেন ‘শ্রীরাম আমাদের ঘরের জনের থেকেও আপন জন’। বিবেকানন্দ বলেছেন, ‘দেশে শ্রীরামচন্দ্র ও মহাবীরের পূজা চালিয়ে দে দিকি।’ শ্রীরাম প্রবর্তিত অকাল বোধন দুর্গাপূজা বাঙালির শ্রেষ্ঠ পূজা। শ্রী চৈতন্যের অমর মন্ত্র, ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ…’। রাম আমাদের প্রতিটি হিন্দু ঘরের ঐতিহ্য। পশ্চিমবঙ্গের লোকজীবনের সর্বত্র শ্রীরাম আমাদের অস্থিমজ্জায় মিশে রয়েছেন।
বাংলা ভাষার আরবীকরন:
পাঠ্যপুস্তকসহ শিক্ষা ক্ষেত্রের বিভিন্ন স্থানে বাংলা ভাষায় আরবি ও উর্দু শব্দের ব্যাপক অনুপ্রবেশ: রামধনু হয়ে যায় রংধনু, আকাশী রং হয়ে যায় আসমানী, মা হয়ে যায় আম্মী। পশ্চিমবঙ্গে উর্দুকে দ্বিতীয় সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা (যেসব জেলায় সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ১০ শতাংশের বেশি)। বিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার পরিবর্তে উর্দু ভাষার শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদ করায় উত্তর দিনাজপুরের দারিভিটে রাজেশ- তাপসের নির্মম হত্যা।
সিএএ রুপায়ন কেন প্রয়োজন:
আফগানিস্থান তো বহু আগেই প্রায় হিন্দুশূন্য হয়েছে। দেশভাগের সময় ১৯ শতাংশ মুসলমানদের জন্য ২৩ শতাংশ জমি দেওয়া হয়। পাকিস্তানে হিন্দুর সংখ্যা ১৯৪৭ সালে ১৫ শতাংশ থেকে ২০১৯ এ প্রায় ১ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা ১৯৫১ সালে ২২ শতাংশ থেকে কমে ২০১১ সালে ৮.৫ শতাংশ হয়েছে। তাই ভারত সরকার নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের মাধ্যমে এই সব দেশ থেকে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের ব্যবস্থা করেছে। যাতে তারা সম্মান এবং পূর্ন আত্মমর্যাদার সঙ্গে ভারতবর্ষের নাগরিক হিসেবে জীবনযাপন করতে পারেন।