যে কোনও সময় আছড়ে পড়তে পারে ঘুর্ণিঝড় আমফান (Amphan Cyclone Strom)। এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)সঙ্গে নিয়ে ফোনে কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকার প্রস্তুতি কেমন রয়েছে, তা নিয়েই বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁদের। সূত্রের খবর, দুর্যোগ মোকাবিলায় সব রকম কেন্দ্রীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নতুন করে আমফান ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এদিন সকলে দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১৪ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে এগিয়ে আসছে আমফান। গত রবিবার বিকেলে এই ঝড়ের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ৯ কিলোমিটার।
সোমবার সন্ধ্যায় ঘুর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ((Narendra Modi) এক জরুরি বৈঠক করেন। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আবহাওয়া দফতরের কর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সামনে এই ঘুর্ণিঝড়ে নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন দেন। প্রধানমন্ত্রী রিভিউ মিটিংয়ের পর কেন্দ্র জানিয়েছে, আমফান ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগে তা একটু হলেও দুর্বল হবে। বুধবার দুপুরে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসাবে আছড়ে পড়বে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায়। সেই সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ১৯৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা।
সোমবার নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে সাইক্লোন শেল্টারে রাখার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে দীঘা, সুন্দরবনের মতো উপকূল এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। মোট সাতটি ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের দল এসেছে রাজ্যে। গতবছরও জোড়া ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। প্রথমে ফণী এবং তারপর বুলবুল হানা দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায়।