রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার পালা শেষই হচ্ছে না। রাজ্যে আরও একবার এক বিজেপি নেতার হত্যার মামলা সামনে আসছে। এবার স্থানীয় খাল থেকে এক বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চঞ্চল্য ছড়াল হুগলির গোঘাট এলাকায়। মৃতের নাম কার্ত্তিক ঘোষ (৩৭)। তিনি এলাকায় বিজেপি নেতা বলেই পরিচিত। ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের নকুন্ডা অঞ্চলের কোটা গ্রামে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনার পিছনে শাসক দল তৃণমূলের হাত আছে বলে জানিয়েছে।
আরেকদিকে বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল জানিয়েছে, বিজেপি কর্মীরা নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল বাধিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তৃণমূল জানাই কার্ত্তিক ঘোষের হত্যার সাথে তাঁদের কোন সম্পর্ক নেই। বিজেপি জানায়, কার্ত্তিক ঘোষ এলাকার জনপ্রিয় বিজেপি নেতা। মানুষ ওনাকে খুবই পছন্দ করত, আর এই কারণেই তৃণমূল কার্ত্তিক ঘোষের হত্যা করেছে।
আপানদের জানিয়ে রাখি যে, এটাই প্রথম রাজ্যে কোন বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনা না। লোকসভা ভোটের ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে একের পর এক বিজেপির নেতা, কর্মী, সমর্থক খুন হচ্ছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে। তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নিজেদের দোষ স্বীকার না করে, উলটে বিজেপির ঘারেই দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন।
এর আগেও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সন্দেশখালি-তে বিজেপির পতাকা লাগানোর জন্য চার জন বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়। আর ওই হত্যার সরাসরি অভিযোগ ওঠে শাসক দলের নেতা শেখ শাহাজাহানের বিরুদ্ধে। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী, তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে, উলটে ওনাকে সৎ এবং শান্তিপ্রিয় মানুষ বলে আখ্যা দেন।
শুধু তাই নয়, এরাজ্যে ‘জয় শ্রী রাম” ধ্বনি দেওয়ার জন্য কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে জেলের ঘানিও টানতে হয়। কিন্তু তাঁর থেকেও বড় ব্যাপার হল, শুধু মাত্র জয় শ্রী রাম বলার জন্য এরাজ্যে ১০ জনের মতো বিজেপি কর্মীকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। তবুও এই নিয়ে এখনো পর্যন্ত মুখ খোলেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।