বিহারে এনডিএ-র বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে মহাজোট। কিন্তু অবশেষে ১২৫ টি আসন পেয়ে অবশেষে বিহার জয় করেছে এনডিএ। তবে একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে আরজেডি। তাঁদের ঝুলিতে রয়েছে মোট ৭৫ টি আসন।
বিরোধী মহাজোটে ভালো ফল করেছে বাম দলেরাও। এবার বাম শিবিরে ছিল তিন বাম দল সিপিআই(এম-এল), সিপিআই ও সিপিআইএম। মহাজোটের পক্ষ থেকে ২৯ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল বামেরা। তাঁর মধ্যে জয় এসেছে ১৬ টিতে। অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি আসনেই জয়ী হয়েছে বাম শিবির।
কিন্তু ফ্লপ শো-এর ধারা এখানেও বজায় রাখল কংগ্রেস। অনেকেই বলছেন, কংগ্রেসের ফ্লপ শো-এর জন্যই স্বপ্ন হাতছাড়া হল তেজস্বীর। কংগ্রেস বিহারে লড়েছিল ৭০ টি আসনে। কিন্তু সেখান থেকে জয় তুলে আনতে পেরেছে মাত্র ১৯ টিতে। যা কিনা যথেষ্ট ধাক্কা দিয়েছে মহাজোটকে। যদি কংগ্রেস আর ৮-১০ টি আসন বেশি তুলে নিতে পারত, তবে নিঃসন্দেহে ওপরে উঠে যেত মহাজোট।
পরিসংখ্যান বলছে মহাজোটের পক্ষ থেকে আসনে প্রার্থী দেওয়া ও সেখন থেকে জয় তুলে আনার বিচারে সবচেয়ে খারাপ অবস্থান হাত শিবিরেরই। যার মাসুল হয়তো দিতে হল মহাজোটকে।
নির্বাচনের আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বিহার সফরে গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু কংগ্রেসের র্যালি তেমন ভাবে দাগ জে কাটেনি তা ফলাফলেই স্পষ্ট। লালু প্রসাদ যাদবের অনুপস্থিতিতেও তেজস্বী যেভাবে বুক চিতিয়ে লড়লেন, তাতে একটা কথা স্পষ্ট যে ভবিষ্যতে তাঁকে আটকানো খুব একটা সহজ হবে না।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়ে বুধবার রাত পার করে অবশেষে ভোরের দিকে এসে শেষ হয় গণনা। মোট ২৪৩ টি আসনের গণনা শেষ হয় বুধবার ভোরের কিছুটা আগে। দেখা যায় এনডিএ-র ঝুলিতে রয়েছে মোট ১২৫ টি আসন। এরমধ্যে বিজেপি-র রয়েছে ৭৪ টি আসন, জেডিইউ-র ৪৩ টি, ৪ টি ও এইচএএম ৪ টি আসনে জয়ী।
অন্যদিকে মহাজোট জয়ী ১১০ টি আসনে। এর মধ্যে আরজেডি পেয়েছে ৭৫ টি, কংগ্রেস ১৯ টি, বামেরা ১৬টি আসন পেয়েছে। এছাড়া আসাউদ্দিন ওয়াইসির দল পেয়েছে ৫ টি আসন, বিএসপি-র খাতায় আসন সংখ্যা ১, এলজিপি ১ টি ও নির্দল প্রার্থী পেয়েছে ১ টি আসন।