ইংরেজরা ভারতে পুলিশের সিস্টেম শুরু করেছিল ভারতীয়দের আন্দোলন দমনের জন্য। পুলিশের ব্যাবহার হতো ভারতীয়দের উপর লাঠিচার্জ, গ্রেফতার ইত্যাদি করার জন্য। আজও অনেক সরকার পুলিশের খারাপ ব্যাবহার করে জনগণের ওপর লাঠিচার্জ করায়। তবে এবার সময় এসেছে পুলিশের সঠিক ব্যবহার করার। পুলিশ দিয়ে মানুষের উপর অত্যাচ্চার করানোর পরিবর্তে অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার জন্য ব্যাবহারের প্রয়োজন রয়েছে। এর ইঙ্গিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই দিয়েছেন। এর জন্য সরকার পুলিশকে নতুনরূপ দেওয়ার উপরেও কাজ শুরু করেছে। দিল্লী পুলিশ কেন্দ্র সরকারের অধীনে কাজ করে, তাই সেখান থেকেই কাজ শুরু করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
রাজধানী দিল্লির জয় সিং রোডের নতুন দিল্লি পুলিশ সদর দফতর বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উদ্বোধন করেন। ৪৪ বছর পর দিল্লী পুলিশ এই সুবিধা পেল বলে জানা যাচ্ছে। নতুন দিল্লী পলিশের সদর দফতর দুর্ভেদ্য কেল্লার মতো করে নির্মাণ করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত দিল্লি পুলিশ সদর দফতরের এই বিল্ডিংটি মডার্ন প্রযুক্তিতে নির্মিত হয়েছে।৮.৯০ লক্ষ বর্গফুটে নির্মিত দিল্লি পুলিশ সদর দফতরের নতুন রাষ্ট্রীয় ১৭ তলা বিল্ডিংটি পাবলিক অংশীদারিতে নির্মিত হয়েছে। বিল্ডিংয়ের উচ্চতা 75 মিটার। জল সংগ্রহ থেকে শুরু করে খোলা এয়ার-ও-বায়ুর ব্যবস্থা রয়েছে। বেসমেন্টের ডাবল স্টোরি পার্কিংয়ে প্রায় এক হাজার গাড়ি পার্ক করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভূমিকম্পের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
পুলিশ সংগ্রহশালা এখানে থাকবে, প্রতিটি তলায় 12-12 আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মিত হয়েছে। পুলিশ কমিশনারদের জন্য দুটি বিলাসবহুল অফিস রয়েছে। একটি অফিস দ্বিতীয় তলায় এবং অন্যটি 14 তলায়। এ ছাড়া প্রায় দেড়শ শীর্ষ আইপিএস পুলিশ কর্মকর্তাদের বসার জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। দিল্লি পুলিশ সদর দফতরের নতুন ভবনের অভ্যন্তরগুলিকে খুব সুন্দর চেহারা দেওয়ার জন্য ডিজাইনার ঝাড়বাতি স্থাপনের পাশাপাশি শো টুকরোও রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এই বিল্ডিংয়ে এমন সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে যে কেউ কার্ড সোয়াইপ না করে ভেতরে পৌঁছাতে পারে না। পুরো পুলিশ সদর দফতরটি অত্যাধুনিক অস্ত্র সজ্জিত কমান্ডো দ্বারা বেষ্টিত রাখা হবে। সদর দফতরটির চারিদিকে সিসিটিভি দিয়ে নজরদারি রাখা হবে।