গতকাল প্রধানমন্ত্রী মোদী দিল্লীর রামলীলা ময়দান থেকে বক্তব্য রেখেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের মধ্যে যে অরাজকতা চলছে তার উপর ভাষণ দেন। CAA নিয়ে দেশের মধ্যে যে দাঙ্গা হাঙ্গামা চলছে ও এর পেছনে কারা রয়েছে তার উপর বিশ্লেষণ করেন। নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সেই মহিলা শরণার্থীকে উল্লেখ করেছিলেন যিনি সম্প্রতি তাঁর নবজাত সন্তানের নাম ‘নাগরিকত্ব’ রেখেছিলেন। আসলে নাগরিকত্ব বিল রাজ্য সভায় বিল হওয়ার পর পাকিস্তান থেকে আগত এক হিন্দু মহিলা খুশি ব্যাক্ত করেছিলেন। নাগরিকত্ব বিল পাস হওয়ার আনন্দে উনি নিজের সন্তানের নাম নাগরিকতা রেখেছিলেন।
মহিলাটি একজন পাকিস্তানি হিন্দু শরণার্থী, যিনি বর্তমানে দিল্লীর মজনু কা টিলা নামে একটি স্থানে থাকেন। মহিলাটি বলেছিলেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল 2019 সংসদে পাস করা আমার সবচেয়ে বড় ইচ্ছা ছিল।” তাই বিল পাস হওয়ার আনন্দে মহিলা নিজের মেয়ের নাম নাগরিকতা রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজের ভাষণে ওই মহিলার কাহিনী উল্লেখ করেন।
বিরোধী দলগুলি সহ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অসন্তুষ্ট হতে পারে, তবে এমন একটি বিভাগের মানুষজন রয়েছে যার জন্য এই বিলের অনুমোদনের খবরটি স্বস্তির দীর্ঘশ্বাস ফেলে এসেছে। CAA এর ফলে তাদের মুখে হাসি ফুটেছে যারা পাকিস্তান ও বাংলাদেশে অত্যাচারীত হয়ে ভারতে এসেছিলেন। যারা বছরের পর বছর ধরে নাগরিকত্ব সংশোধনের অপেক্ষায় ছিলেন তাদের জন্য এই আইন অমৃতের মতো জীবনদান দিয়েছে। রাজ্যসভায় বিলটি পাস হওয়ার পর এই শরণার্থীরা এমন তৃপ্তি পেয়েছে যেন তারা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
তবে ভারতে থাকা রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি মুসলিমরা এই আইনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। একইসাথে কিছু রাজনৈতিক দল CAA এর উপর বিরোধ প্রকাশ করেছে। কিছুজন দাবি করেছে CAA এর মধ্যে মুসলিমদের মধ্যে আনা হোক। যাতে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি মুসলিমরাও নাগরিকত্ব পেতে পারে।