বাংলায় ক্ষমতায় এলে শিল্পীদের পেনশন দেবে বিজেপি: কৈলাস

বাংলায় ক্ষমতায় এলে শিল্পীদের পেনশন দেবে বিজেপি৷ মঙ্গলবার বারুইপুরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঘোষণা করেন৷ কটাক্ষ তৃণমূলের৷

মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে সারা ভারত কীর্তন, বাউল, ভক্তিগীতি শিল্পী সংসদের মঞ্চে উপস্থিত ছিলে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ ভোটের আগে বাংলায় এসে গাইলেন কীর্তন৷

বারুইপুরের ওই মঞ্চ থেকেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানালেন ‘ষাট বছর পরে কীর্তন শিল্পীরা গাইতে পারেন না। তখন আয় হয় না, সংসারের বোঝা হয়ে ওঠেন । কীর্তন শিল্পীদের পেনশনের ব্যবস্থা করেছে মোদি সরকার। এখন ১২০০ শিল্পী পাবেন। ক্ষমতায় আসার পর সবাইকে দেওয়া হবে।’

পিছিয়ে পড়া মানুষদের মন জয় করতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে কৈলাস টেনে আনলেন চৈতন্য প্রসঙ্গ। বলেন, ‘কৃষ্ণভক্তি ও রামভক্তির ভূমি বাংলা। চৈতন্য মহাপ্রভুর পরম্পরা এখানে প্রবাহমান। চৈতন্য মহাপ্রভু না থাকলে গোটা বাংলা বাংলাদেশ হয়ে যেত।’

যদিও আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর অনুপ্রেরণায় , তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে লোকপ্রসার প্রকল্প নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চালু রয়েছে বাংলায়।

প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হল : (১) পরিচয়পত্র প্রদান করে লোকশিল্পীদের সন্মান জানানো , (২) বাংলার সনাতন লোক-আঙ্গিক তুলে ধরা , (৩) শিল্প ও সংস্কৃতির লুপ্ত-প্রায় শাখাগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করা ও (৪) লোক শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের আর্থ – সামাজিক পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো।

বাংলায় বহুসংখ্যক লোকশিল্পী আছেন , যাঁরা সুনামের সঙ্গে বহু অনুষ্ঠান করেছেন এবং শ্রোতাদের মনোরঞ্জন করেছেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ শিল্পীই বয়সজনিত কারণে বর্তমানে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে অপারগ। এদের মধ্যে অনেকের নির্দিষ্ট কোনও আয় নেই এবং তাঁদের দেখাশোনা করার কেউ নেই। তাঁদের সহায়তার জন্য রাজ্য সরকার এগিয়ে এসেছে ।

৬০ বছরের বেশী বয়স্ক লোক শিল্পীরা লোকপ্রসার প্রকল্পের অধীনে পেনশন পাচ্ছেন। এই টাকা সরাসরি শিল্পীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.