শেষ রক্ষা হলনা। কেউই পারল না। জল্পনায় ইতি টেনে মহারাষ্ট্রের জারি রাষ্ট্রপতি শাসন। বিজ্ঞপ্তিতে সই করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। মঙ্গলবার রাজ্যের গোটা পরিস্থিতি জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কেশিয়াড়ি। অন্যদিকে নিজে ব্রাজিল সফর পিছিয়ে দিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। তখন থেকেই মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসনের জারির জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। জানা যায় মহারাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে সায় দেয় মন্ত্রিসভা। এরপর তা যায় রাষ্ট্রপতির কাছে।
মহারাষ্ট্রে কোন দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সরকার গঠনের দাবিও কেউ করেনি। সাংবিধানিক রীতি মেনে রাজ্যপাল প্রথম বৃহত্তম দল বিজেপিকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানায়।তাদের সময় দেওয়া হয় তিনদিন। কিন্তু নির্ধারিত সেই সময়ের পরে বিজেপি জানিয়ে দেয় তারা সরকার গঠন করবে না। এরপর দ্বিতীয় বৃহত্তম দল শিবসেনাকে সরকার গঠনের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় দেয় রাজ্যপাল। শিব ষসেনা সরকার গঠনের দাবি করলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকার গড়তে পারেনি। তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে এনসিপিকেও ডেকেছিলেন রাজ্যপাল। তাদের দেওয়ার সময়সীমা শেষ হতে চলেছে আজ রাত সাড়ে আটটায়। তার মধ্যেই এর এই চমকপ্রদ খবর। মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশে সম্মতি জানিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি।
১৯৮০ সালের পর মহারাষ্ট্রের এই প্রথম রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু হল। সংবিধানের ৩৫৬ নম্বর ধারা কার্যকর হল মহারাষ্ট্রে। রাজ ভবনের তরফে জানানো হয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কেশিয়াড়ি নিশ্চিত হয়ে গেছেন যে বর্তমান পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক উপায়ে মহারাষ্ট্রে সরকার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। সম্পূর্ণ বিষয় বিচার বিবেচনা করে তিনি একটি রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠিয়েছিলেন। সেখানে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা লাগুর সুপারিশ করা হয়। মোদী নেতৃত্বাধীন মন্ত্রী সভা মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করে।