কর্ণাটকের তুমাকারুতে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির তৃতীয় পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষি কর্মন পুরস্কার প্রদানের পাশাপাশি তামিলনাডু ও কর্ণাটকের মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার জন্য নৌকা এবং ট্রান্সপন্ডার প্রদান করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির গুরুত্ব তুলে ধরে নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির ফলে টাকা এখনও পর্যন্ত ১২ হাজার কোটি টাকা সরাসরি ছয় কোটি কৃষক পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছিয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের বর্তমান সমস্যার সমাধান করার পাশাপাশি তাঁদের ভাল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করারও কাজ চলছে। এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে ই-এনএএমের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দেশের যে কোনও ই-মান্ডিতে নিজেদের ফসল তারা বিক্রি করতে পারবে। কৃষকদের গবাদি পশুদের জন্য টিকাকরণের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পিএম-কুসুম প্রকল্পের মাধ্যমে শস্য নির্মাতারা এখন সৌর শক্তি উৎপাদক হয়ে ওঠবে। কৃষকদের কথা ভেবে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেড়গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। কয়েক দশক ধরে আটকে থাকা সেচ প্রকল্পগুলিকে পুনরায় রূপায়ণ করা হয়েছে। সোয়েল হেলথ কার্ড এবং অন্যান্য সকল প্রকল্প কৃষকদের উন্নয়নের কথা ভেবেই গ্রহণ করা হয়েছে। নাম না করে কংগ্রেস আমলের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির ফারাক তুলে ধরে তিনি বলেন, আগে সরকার গরিবদের জন্য টাকা পাঠালে, তা ভুঁইফোড়রা খেয়ে নিত। কিন্তু এখন সরাসরি গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউণ্টে সেই টাকা যাচ্ছে।
দেশের কয়েকটি রাজ্য প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি যোজনা কার্যকর না করায় নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, রাজনৈতিক বিভেদের উর্দ্ধে উঠে সবকটি রাজ্যের উচিত এই প্রকল্প কার্যকর করা। এই প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হয়েছে ছয় কোটি পরিবার। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকলে কৃষকদের প্রকৃত উন্নয়ন যে স্তব্ধ হয়ে যায়, তাও মনে করিয়ে দেন তিনি।
2020-01-02