নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের নামে বিক্ষোভের সত্যতা এখন সামনে চলে আসছে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশে হওয়া হিংসা থেকে এমন ঘটনা সামনে আসছে যা খুবই চাঞ্চল্যকর। আসলে UP ও অসমে CAA এর বিরুদ্ধে আনন্দোলনের নামে যে হিংসার ঘটনা দেখা যাচ্ছে তাতে আতঙ্কবাদীদের হাত মিলেছে। আসামে Popular Front of India (PFI) এর চিফ আমিনুল হক এবং তার প্রেস সচিব মুজিম হক গ্রেফতার হওয়ার পর UP ও আসামের হিংসায় আতঙ্কবাদীদের হাত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেছে। উত্তর প্রদেশে এই সংগঠনের প্রমুখ ওয়াসিমকে গ্রেপ্তারের পরে চিত্রটি অনেক বেশি পরিষ্কার হওয়া শুরু হয়েছে। ওয়াসিমের সাথে পুলিশ আরও 16 জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ UP এর শামলী জেলা থেকে ওয়াসিমকে গ্রেপ্তার করেছে।
১৯ ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত UP রাজ্য জুড়ে ৯২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সাথে শামলীসহ অন্যান্য জেলায় বিক্ষোভ চলাকালীন সহিংসতার অভিযোগে প্রায় ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৪ জন পিএফআইয়ের সদস্য। বলা হচ্ছে যে, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে পশ্চিমাঞ্চলে সহিংস বিক্ষোভ গুলির মাস্টারমাইন্ড হলেন ওয়াসিম। ওয়াসিম ছাড়াও পুলিশ এই সংস্থার কোষাধ্যক্ষ আশফাক এবং দুই সদস্য নাদিম ও মোহাম্মদ শাদাবকে গ্রেপ্তার করেছে। লক্ষণীয় বিষয়, ১৯ ডিসেম্বর শামলী ও কায়রানায় পরিস্থিতি খুব মারাত্মক হয়ে ওঠেছিল।
রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা বলেছেন যে পিএফআই ছাড়াও নিষিদ্ধ সংগঠন সিমি (স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া / সিমি) নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের নামে সহিংস বিক্ষোভে জড়িত। গ্রেফতারের জায়গা থেকে পুলিশ প্রতিবাদকারী পতাকা, পামফলেট, ব্যানার, সাহিত্য, সংবাদপত্রের নিউজ কাটিং এবং পোস্টারও উদ্ধার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় নাদিম এবং আশফাক স্বীকার করেছে যে তারা ১৯ ডিসেম্বর CAA এর বিরোধিতা করার ষড়যন্ত্র করেছিল।
জানিয়ে দি, CAA এর নামে যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে তার পেছনে বাংলাদেশি মুসলিম ও রোহিঙ্গাদেরও হাত আছে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। দিল্লী থেকে ৪ অবৈধ বাংলাদেশি মুসলিম গ্রেফতার হওয়ার পর এই শঙ্কা আরো জোর পেয়েছে। শুধু এই নয়, উত্তরপ্রদেশে যে হিংসা হয়েছে তাতে পশ্চিমবঙ্গের মালদা অবধি তার জুড়েছে। মালদা থেকে কিছু কট্টরপন্থী এসে UP কে জ্বালানোর প্রয়াস করেছিল বলে দাবি করা হচ্ছে।