বুধবার যোগী আদিত্যনাথের সরকার উত্তর প্রদেশে সরকারি চাকরির বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের মহিলাদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে।
এবার থেকে কোনও সরকারি কর্মচারী চাকরিতে থাকাকালীন যদি মারা যান, সেই ক্ষেত্রে তাঁর বিবাহিত কন্যা সেই চাকরিতে বহাল হওয়ার যোগ্য বলে গন্য হবেন।
বর্তমানে বিবাহিত মহিলারা কম্প্যাশনেট গ্রাউন্ডে পিতা অথবা মাতার মৃত্যুর পরে সেই চাকরি পাওয়ার যোগ্য নন। এখনও পর্যন্ত পুত্র, বিবাহিত পুত্র এবং অবিবাহিত কন্যারা কম্প্যাশনেট গ্রাউন্ডে সরকারি চাকরি পাওয়ার যোগ্য ছিলেন। সাধারনত এই ক্ষেত্রে গ্রুপ ডী-র চাকরি দেওয়া হয় এবং ক্ষেত্র বিশেষে প্রার্থীর যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে গ্রুপ সি-র চাকরিও দেওয়া হয়।
গত জুন মাসে এলাহাবাদ হাই কোর্ট সিদ্ধান্ত নেয় যে চাকরিতে থাকাকালীন সরকারি কর্মচারী মৃত্যু হলে তাঁর বিবাহিত কন্যা কম্প্যাশনেট গ্রাউন্ডে চাকরির যোগ্য হবেন। উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা মঞ্জুল শ্রীবাস্তবের আবেদনের ভিত্তিতে জাস্টিস জে জে মুনির এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। ২০২০ সালের জুন মাসে তাঁর পিতার মৃত্যুর পরে কম্প্যাশনেট গ্রাউন্ডে চাকরির আবেদন করেন শ্রিবাস্তব। প্রয়াগরাজের ডিসট্রিক্ট বেসিক এডুকেশন অফিসার তাঁর আবেদন বাতিল করে দেন। এরপরেই শ্রিবাস্তব কোর্টে আবেদন জানান এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।
অন্যান্য অনেক হাই কোর্ট সাম্প্রতিককালে এই ধরনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কর্ণাটক হাই কোর্ট জানায় কম্প্যাশনেট গ্রাউন্ডে বিবাহিত মহিলারা চাকরির আবেদন করতে পারবেন। এর এক মাস আগে হিমাচল হাই কোর্ট জানায় বিবাহিত পুত্র এবং কন্যাদের মধ্যে লিঙ্গের ভিত্তিতে কোনও রকম পার্থক্য করা যাবে না।