ভারতবর্ষ একমাত্র দেশ যেখানে সেখানের আরাধ্য দেবতা শ্রী রামের মন্দির নির্মাণ করতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ইসলাম হোক বা খ্রিস্টান কোনো ধর্মেই তাদের আরাধ্য এর মসজিদ বা চার্চ নির্মাণ করতে এত বিশাল সংগ্রাম করতে হয় না। একমাত্র ভগবান রামের জন্মস্থানে মন্দির করার জন্য হিন্দুদের দীর্ঘ সময় ধরে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। তবে সম্ভবত এবার রামজন্মভূমি বিতর্ক সমাপ্ত হবে। অযোধ্যার রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ক মামলা সোমবার থেকে শেষ দফার বিচার সুপ্রিম কোর্টে শুরু হতে চলেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অযোধ্যাকে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশাসন অযোধ্যাতে ১৪৪ ধারা প্রয়োগ করেছে এবং জেলাকে দুর্গে পরিণত করা হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই যে, উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার আছে। একইসাথে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর সরকার আছে। ফলস্বরূপ দেশে শান্তি বজায় রাখার পূর্ণ প্রচেষ্টা করা হবে। দেশে কোনোরকম অশান্তি যাতে না ছড়িয়ে পড়ে তার দিকে খেয়াল রাখার কাজ শুরু হয়ে গেছে।
সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে, ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় ধারা ৪৪ কার্যকর থাকবে। অর্থাত, দীপোৎসব, চেহলুম ও কার্তিক মেলার সময় নিষিদ্ধ আদেশ কার্যকর থাকবে। জেলায় বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে আদালত এক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারবে এবং এক মাস এর মধ্যে অর্থাৎ ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত আদালত এই ইস্যুতে অন্তিম ঘোষণ জানাতে পারবে।
নিরাপত্তা বাহিনীর প্রথম দলটি ১৮ ই অক্টোবর থেকে জেলায় পৌঁছানো শুরু করবে। এতে পিএসি, সিআরপিএফ এবং র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স সংস্থার সৈন্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অযোধ্যা সিদ্ধান্ত নিয়ে জেলা প্রশাসন সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। অযোধ্যায় সুরক্ষার ব্যবস্থাপনার জন্য বিপুল সংখ্যক বাহিনী নিযুক্ত করার কাজ চলছে।
জেলার 200 টি স্কুল বাহিনীর জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে, পাশাপাশি বিদ্যালয়ের তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
আশা করা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট খুব তাড়াতাড়ি দেশে রামমন্দির নির্মাণের ঘোষণা করে বিতর্কের অবসান করবে। শুধু এই নয়, এই বিতর্ক মিটলে সাম্প্রদায়িক বীজকেও নষ্ট করা যাবে। অযোধ্যা বিতর্কে বহুবার দেশে মানুষে মানুষে সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরি হয়। বিতর্ক মিটলে তার অবসান ঘটবে এবং সাম্প্রদায়িক ঐক্য বৃদ্ধি পাবে।