বৃহস্পতিবার এক জনসভায় অযোধ্যাকে বিশ্বের সবথেকে সুন্দর নগরী বানানোর কথা দিলেন যোগী আদিত্যনাথ।
অযোধ্যার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন‚ “অযোধ্যা আজ বিশ্বকে গর্বের সাথে আকৃষ্ট করছে। ২০১৭ সালের আগে, যারা অযোধ্যার নাম নিতেও দ্বিধা করত, তারা এখন এই শহরে আসতে আগ্রহী।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন‚ নরেন্দ্র মোদির আহ্বানেই এই বছরের শেষ নাগাদ রাম জন্মভূমির বিশাল মন্দিরের কাজ শেষ হবে। যখন রাম জন্মভূমির কাজ শেষ হবে, তখন অযোধ্যা হবে বিশ্বের অন্যতম সুন্দর শহর।
অযোধ্যায় করসেবকদের হত্যার কথাও স্মরণ করেন তিনি। কারও নাম না করে যোগী অভিযোগ করেন যে কিছু লোক রাম ভক্তদের রক্ত ঝরিয়ে অযোধ্যার মানহানি করেছে। তিনি বলেন যে “আমরা এর গৌরব পুনরুদ্ধার এবং এটিকে ‘রাম রাজ্য’-এর প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছি। আজ অযোধ্যা বদলে যাচ্ছে, সবাইকে আকৃষ্ট করছে। আমাদের জনপ্রতিনিধিরা পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। তাই, আমরা শহরকে পরিষ্কার ও সুন্দর করতে মহন্ত গিরিশ পতি ত্রিপাঠীর নেতৃত্বে একটি বোর্ড গঠন করতে চাই”।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রথম সোলার সিটি হতে চলেছে অযোধ্যা। বাড়ির বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ছাদে বসানো প্যানেলের মাধ্যমে এখানে সৌরশক্তি উৎপাদন করা হবে। কলেজ, ইউনিভার্সিটি, খাল এবং সরয়ু নদীর তীরে সোলার প্যানেল বসিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।”
কথা প্রসঙ্গে যোগী সমাজবাদী পার্টির ব্যাপারে বলেন যে তারা কখনই ইউপির কোন উপকার করেনি এবং সর্বদা মাফিয়া এবং অপরাধীদের সমর্থন করেছে। এটিকে একটি ‘ধ্বংসাত্মক দল’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন যে দলটি ২০১২ সালে সরকার গঠনের পরে প্রথম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা হল রাম জন্মভূমিতে হামলার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা, কিন্তু উচ্চ আদালত তা প্রত্যাখ্যান করে। এসপি সর্বদা রাজ্যের উন্নয়নে বাধা দেয় কিন্তু ডাবল-ইঞ্জিন সরকার দ্রুত-ট্র্যাক উন্নয়নে সেই বাধাগুলি সরিয়ে দেয়।”
প্রধানমন্ত্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরে ভূমিপূজন করার পরে বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে বলেও তিনি জানান। প্রশাসন রামরাজ্যের ধারণাটিকে বাস্তবে পরিণত করছে সকলকে প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করে বলেও তিনি ঘোষণা করেন।