উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) শুক্রবার (২০ জুন) ফরমান জারি করে বলেন, যে দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সরকারী সিস্টেমে কোনো স্থান নেই এবং তাদের স্বেচ্ছাকৃত অবসর গ্রহণ নেওয়া উচিত। আদিত্যনাথ সেই সব কর্মকর্তাদের সূচি বা লিস্ট বার করার নির্দেশও জারি করেছেন যাদের কাছে অনেকদিন ধরে মামলা গুলি মুলতুবী আছে বা সন্দেহভাজন গতিবিধির মধ্যে রয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ বলেন হয় দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারি আধিকারিকরা স্বেচ্ছাকৃত অবসর নিক নাহলে তাদের জোরপূর্বক অবসর দেওয়া হয়। যোগী আদিত্যনাথের এই ঘোষণার পর কাজও শুরু হয়ে গেছে। মাফিয়া মুন্না বজরঙ্গির হত্যাকাণ্ডে দোষী পাওয়া জেলার উদয় প্রতাব সিং এবং মেরঠ জেলে স্টিং অপারেশনের জন্য ডিপুটি জেলার ধীরেন্দ্র কুমার সিংকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মুখ্য সচিব অরবিন্দ কুমার বলেন, তদন্তে দুই আধিকারিক কাজে অবহেলা করার দোষী পাওয়া গেছে এবং এরা কেউই সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি। যার ফলে কারাগার বিভাগের ছবিতে দাগ পড়েছে। এই কারণে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে আধিকারিকদের বরখাস্ত করা হয়েছে। এই বরখাস্ত এটার সঙ্কেত যে এবার অন্য বিভাগের সরকারি কর্মীদের উপরেও বরখাস্তের গাছ পড়তে পারে। খবর অনুযায়ী, যোগী আদিত্যনাথ ইউপিকে দুর্নীতি মুক্ত করার জন্য কঠোরভাবে অপারেশন চালু করেছেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর আদেশ মতো এখনও অবধি ৩০ জনের তালিকা সামনে এসে গেছে যাদের উপর দুর্নীতির মামলা রয়েছে।
এই তালিকা শীঘ্রই আদিত্যনাথের কাছে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হবে। এই ৩০ জন কর্মকতার মধ্যে 17 টি পর্যালোচনা কর্মকর্তা, 8 বিভাগের কর্মকর্তা, 3 সচিব ও 2 টি উপ-সচিব সামিল রয়েছেন। জানিয়ে দি কেন্দ্রের মোদী সরকার মাত্র কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় পণ্য নির্বাহী বিভাগের 15 জন এবং আয়কর বিভাগের ১২ জনকে সময়ের আগেই জোরপূর্বক অবসর করিয়ে দিয়েছে। কেন্দ্র সড়কার বিউরোক্রেসি থেকে এবং বিভাগগুলি থেকে দুর্নীতি শেষ করে দেওয়ার কাজে নেমেছে। অন্যদিকে যোগী আদিত্যনাথ ইউপিকে স্বচ্ছ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন।