ভারতের কাছে নতিস্বীকার চিনে (China)।পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে দুই কিলোমিটার পিছিয়ে গেল লালফৌজ। গালওয়ান ছাড়াও হট স্প্রিং, গোগড়া থেকে নিজেদের সেনা ছাউনি দুই কিলোমিটার সরিয়ে নিয়েছে চিন। যদিও সেনাবাহিনী তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি। পুরোটাই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। কারণ চিন যদি সরে গিয়ে পাল্টা অতর্কিতে হামলা চালায় সেই জন্য সতর্ক রয়েছে ভারতীয় সেনা জওয়ানরা।বর্তমানে গালওয়ান উপত্যকাকে বাফার জোন হিসেবে পরিণত করা হয়েছে। যাতে করে আগামী দিনে কোন রকমের সংঘাত দুই তরফের মধ্যে না ঘটে। যেসব অঞ্চল নিয়ে দুই তরফের মধ্যে বিবাদ ছিল সেই অঞ্চল থেকে এক থেকে দুই কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে চিন। মনে করা হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে কর্প কমান্ডার পর্যায়ে যে বৈঠক হয়েছিল সেখানে যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছিল তা মেনেই পিছু হটেছে। রবিবার পর্যন্ত ডি এসকালেকশন পর্যায় শুরু করেনি চিন। কিন্তু সোমবার হতেই সেই প্রক্রিয়া তারা শুরু করে দেয়। উল্লেখ করা যেতে পারে ১৫ জুন, সোমবার রাতে গালওয়ান উপত্যকায় অতর্কিতে হামলা চালায় চিনা সেনা। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে ভারত। দুই তরফের তুমুল হাতাহাতিতে শহীদ হন কুড়িজন ভারতীয় সেনা জওয়ান।
চিনের ৪৩ জন সেনা মারা যায়। এরপরই দুই তরফের উত্তেজনার পারদ বাড়তে থাকে। কর্প কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকেও কোন সুরাহা মিলেনি।কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা গেল সেই বৈঠকে যা প্রস্তাব ভারতের তরফে দেওয়া হয়েছিল অবশেষে তা মেনে নিতে বাধ্য হল চিন। আলোচনার পাশাপাশি পূর্ব লাদাখে নিজের শক্তি অনেকটা বাড়িয়েছে ভারত। চিন লাগোয়া সীমান্তে চক্কর কাটছে ভারতের মিগ ২৯, সুখোই ৩০ এমকে আই, জাগুয়ার, মিরাজ ২০০০। পদাতিক সেনাবাহিনীর সুরক্ষার জন্য মোতায়ন করা হয়েছে কমব্যাট শ্রেণীর অ্যাপাচি হেলিকপ্টার। এছাড়াও চিনা ছাউনিগুলিকে লক্ষ্য করে বোফোর্স কামানগুলিকে বসানো হয়েছে।সম্প্রতি পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মনোবল বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।সেখানে তিনি চিনকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তা স্পষ্ট বার্তা ছিল বিস্তারবাদের যুগ এটা নয়। মনে করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর এই কড়া অবস্থানের জেরেই পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে শি জিনপিংয়ের লালফৌজ।