রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা বিপিসিএলের নিয়ন্ত্রণ এবার পুরোপুরি বেসরকারি হাতে যেতে চলেছে। শীঘ্রই নিজেদের হাতে থাকা ভারত পেট্রোলিয়ামের (Bharat Petroleum) ৫২.৯৮ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে দেবে কেন্দ্র। ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম জ্বালানি বিক্রেতা সংস্থার বেসরকারিকরণের এই উদ্যোগে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন এলপিজি (LPG) গ্রাহকরা। তাঁদের প্রশ্ন, BPCL পুরোপুরি বেসরকারি নিয়ন্ত্রণে চলে গেলে ভরতুকির কি হবে? আদৌ মিলবে তো? শনিবার সংসদে এ প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেনি কেন্দ্রও। তাঁরা জানিয়েছে, বেসরকারি সংস্থার কাছে দরপত্র আহ্বান করার আগে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, BPCL-এর শেয়ার কেনার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আগ্রহপত্র জমা দিতে হবে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে। তারপর আহ্বান করা হবে দরপত্র। শনিবার সংসদে অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) জানিয়েছেন, ‘গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখেই আর্থিক দরপত্র চাওয়ার আগে ভরতুকির বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।’ কিন্তু অনুরাগের এই কথায় স্পষ্ট কোনও আশ্বাসবাণী নেই। স্পষ্ট করে তিনি বলেননি, যে বেসরকারি নিয়ন্ত্রণে গেলেও ভরতুকির বিষয়টি নিশ্চিত করবে কেন্দ্র। তাঁর এই ‘চিন্তাভাবনা’র আশ্বাসে তাই পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না গ্রাহকরা।
উল্লেখ্য, গত ৪-৫ মাস ধরে রান্নার গ্যাসে ভরতুকির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। গত কয়েকমাসে গ্রাহকরা হয় ভরতুকি আদৌ পাননি, আর পেলেও সেটা যৎসামান্য। শনিবার সংসদে জ্বালানি গ্যাসের এই ভরতুকি কমে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। তাঁর প্রশ্নের জবাবে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) জানান,”কেন্দ্র এখনও রান্নার গ্যাসে ভরতুকি পুরোপুরি তুলে দেয়নি। শুধু ভরতুকিযুক্ত গ্যাসের দাম নিয়ন্ত্রণ করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দামের ওঠাপড়ার সঙ্গে ভরতুকির পরিমাণও ওঠানামা করে।” কেন্দ্রের যুক্তি, এই মুহূর্তে ভরতুকিহীন এবং ভরতুকিযুক্ত গ্যাসের দামের ফারাক কমে যাওয়ায় গ্রাহকরা ছাড় পাচ্ছেন কম।