বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে অসংখ্য মানুষ সংরক্ষণের বিরুদ্ধে ভীষণভাবে সোচ্চার । তাদের মতে এর ফলে মেধার সঙ্গে আপোস করা হচ্ছে এবং দেশের বারোটা বেজে যাচ্ছে ।
আশ্চর্যজনক ভাবে এইসব লোক কিন্তু হিন্দু সমাজ থেকে বর্ণভেদ একেবারে মুছে ফেলার কথা বলে না । তাহলে তো আর এরকম সংরক্ষণের প্রশ্ন আসবে না ।
সংরক্ষণের বিরুদ্ধে যারা বহু কথা বলে তারা বর্ণভেদ মুছে ফেলার কথা বলে না কেনো? তার মানে কি এই যে তারা গাছেরও খেতে চায় আবার তলারও খেতে চায়? তারা ভুলে যায় কেনো যে এই বর্ণভেদই ভারতের হিন্দু সমাজের কাছে দুরারোগ্য ক্যানসারের মতো?
মনে রাখা দরকার আছে যে বর্ণভেদের মাধ্যমেই এক শ্রেণীর লোকের জন্য সম্পত্তি, প্রভাব, প্রতিপত্তি ও সামাজিক সম্মানের সংরক্ষণ, বলা যায়, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করা হয়েছিল ।
আজকের এই অত্যাধুনিক যুগেও খুবই কম লোকে পৈতা খুলেছে অথচ তারা সংরক্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার । এটাও তো দ্বিচারিতা, তাই না?