কেরলের উদাহরণ দিয়ে কৃষক আন্দোলন নিয়ে বামেদের বিরুদ্ধে দু’ মুখো নীতির অভিযোগ তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তাঁর অভিযোগ, দিল্লিতে এপিএমসি, মান্ডি ব্যবস্থা চালু রাখার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বামেরা৷ অথচ কেরলে বামেদের সরকার থাকলেও সেখানে এপিএমসি বা মান্ডির ব্যবস্থা নেই৷
প্রধানমন্ত্রী এ দিন বামেদের পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, এপিএমসি বা মান্ডি চালুর দাবিতে কেন তাঁরা কেরলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন না? বামেদের আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের স্বার্থে কিছু বলে না, পশ্চিমবঙ্গকে বরবাদ করে তারা এখানে এসে দিল্লির নাগরিকদের হয়রান করছেন৷ দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত করছেন৷ মান্ডি- এপিএমসি নিয়ে বড় বড় ভাষণ দিচ্ছেন৷ অথচ কেরলে এপিএমসি- মান্ডির ব্যবস্থা নেই৷ এখানে ছবি না তুলে কেরলে কেন এপিএমসি- মান্ডি ব্যবস্থা চালু করছেন না? পঞ্জাবের কৃষকদের বিভ্রান্ত করছেন, কিন্তু কেরলে এই ব্যবস্থা চালুর দাবি জানাচ্ছেন না কেন তা যদি এতই ভাল হয়? দু’ মুখো নীতি নিয়ে কেন রাজনীতি করছেন? খালি মিথ্যে, গুজব ছড়িয়ে কৃষকদের ভয় পাইয়ে দিচ্ছেন৷ ‘
প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা রাজ্যের আপত্তিতে কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্পের টাকা না পেলেও তা নিয়ে কোনও আন্দোলন করছেন না বামেরা৷ অথচ তারাই দিল্লিতে গিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন৷ বামেদের আমলে বাংলাতেও কৃষি ব্যবস্থার হাল দিন দিন খারাপ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷
কৃষক আন্দোলনের নেপথ্যে বাম সংগঠনগুলি বড় ভূমিকা নিয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গে একই ইস্যুতে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস এবং বামপন্থী দলগুলি৷ ফলে একদিকে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের বাম-তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতা প্রমাণ এবং অন্যদিকে নয়া কৃষি আইন নিয়ে বামেদের বিরোধিতাকে ভোঁতা করে দেওয়া, এ দিনের ভাষণে দুই কাজই সেরে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী৷