রাজ্যে দাঙ্গা বা সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হলে, মাফিয়ারাজ চালালে অপরাধীর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে সরকার। এর শুরুটা করেছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তারপর একই পথে হাঁটে মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাতের বিজেপি সরকারও। সাম্প্রতিক সময়ে এভাবেই রামনবমী ও হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রাতে পাথর ছোঁড়ায় অভিযুক্তদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এবার ‘বুলডোজার বিচার’ -এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল মুসলিম সংগঠন জমিয়তে উলেমা-ই-হিন্দ। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়ে তারা বলেছে, অপরাধ দমনের নামে বিভিন্ন রাজ্যে চালু হওয়া এমন বিচার বন্ধ করতে হস্তক্ষেপ করুক সর্বোচ্চ আদালত। মুসলিম সংগঠনগুলির অভিযোগ, ভুক্তভোগীরা বেশিরভাগ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।
সংস্থার সভাপতি আরশাদ মাদানি টুইট করে মামলা দায়ের করার কথা জানিয়ে বলেছেন, তাঁরা মনে করেন যে এই বিচার সাংবিধানিক নৈতিকতার পরিপন্থী এবং আইন বিরুদ্ধ। একই সঙ্গে বুলডোজার বিচারকে ভয়ংকর রাজনীতি বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে মামলা সম্পর্কে আদালতের অভিমত এবং অগ্রগতি নিয়ে তিনি কিছু জানাননি। আদালত সূত্রেও মেলেনি সেই তথ্য।
তবে রামনবমী ও হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে পাথর হামলার নিন্দা করেনি মুসলিম সংগঠনগুলি। কেন মুসলিম অধুষ্যিত এলাকাগুলি দিয়ে শোভাযাত্রা যাওয়ার সময় হামলা হচ্ছে সেই নিয়েও টুঁ শব্দ করেনি তারা। শুধুমাত্র বুলডোজার অভিযানকে সংবিধান ও আইন বিরুদ্ধ আখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ওই সংগঠন।